রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ ১৬৪ জনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বহু শিশু শিক্ষার্থীও রয়েছে।
সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন,
"ন্যাশনাল বার্ন ইউনিটের অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবু হয়তো আরও কিছু হৃদয়বিদারক খবর শুনতে হতে পারে আমাদের। আল্লাহ্ ভরসা।"
হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি লেখেন,
"আপনারা হাসপাতালে অযথা ভিড় করবেন না। এতে দগ্ধ শিশুদের ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। দয়া করে নিহত বা আহত শিশুদের ছবি বা ভিডিও আপলোড করা থেকেও বিরত থাকুন। এতে শোকাহত পরিবার, বন্ধু ও শিক্ষকদের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে।"
রক্তদাতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন,
"যারা রক্ত দিতে আগ্রহী, তারা আগামীকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় বার্ন ইউনিট বা সিএমএইচে যোগাযোগ করুন। সবার কাছে দোয়া চাইছি। আল্লাহর দয়া ছাড়া কিছুই বেশি মূল্যবান নয়।"
সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই (৭০১) মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান। মাত্র ১২ মিনিট পর, ১টা ১৮ মিনিটে বিমানটি উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের মূল ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমানে আগুন ধরে যায়। বিমানে ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর, যিনি এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। শতাধিক শিক্ষার্থীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ভর্তি রয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।