ঢাকা প্রেস
নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি:-
নেত্রকোণা জেলায় ভয়াবহ বন্যায় কৃষকরা তাদের জীবন ও জীবিকা হারিয়েছেন। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট এই বন্যায় কলমাকান্দা, দূর্গাপুর, পূর্বধলা, বারহাট্টা ও সদর উপজেলাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জেলার ২৪ হাজার ৬৬৭ হেক্টর আমন ফসল পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে। দূর্গাপুর উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, "আমার সারা বছরের পরিশ্রম পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। এখন আমি কিভাবে সংসার চালাব, তা ভেবে পেরে উঠতে পারছি না।"
চৈতা গ্রামের বাসিন্দা সাথী আক্তার তার পোল্ট্রি ফার্ম হারিয়ে বিধ্বস্ত। তিনি বলেন, "রাতের অন্ধকারে আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের সবকিছু পানির নিচে। আমার স্বামী একজন দিনমজুর। এখন আমরা কিভাবে বাঁচব, তা ভাবতে ভাবতে আমার রাতের ঘুম হারিয়ে গেছে।"
এই বন্যা নেত্রকোণার কৃষি খাতকে গভীরভাবে আঘাত করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ক্ষতি থেকে উঠে আসতে কৃষকদের বেশ কিছু সময় লাগবে। কারণ, অনেক কৃষক ধারদেনা করে চাষাবাদ করেছিলেন এবং এই ক্ষতির পর তাদের ঋণের বোঝা আরও বেড়েছে।
সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে নতুন করে ফসল চাষের পরামর্শ দিচ্ছে। তবে, দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
নেত্রকোণার বন্যা কৃষকদের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই বিপর্যয় থেকে উঠে আসতে তাদের সরকারি সহায়তা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রয়োজন।