চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দা থেকে ১,৯১১ মামলার নথি গায়েব

প্রকাশকালঃ ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:১৭ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দা থেকে ১,৯১১ মামলার নথি গায়েব

ঢাকা প্রেস নিউজ
 

চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দায় রাখা ১,৯১১টি মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) অদৃশ্য হয়ে গেছে। হত্যাকাণ্ড, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন গুরুতর মামলার এই নথিগুলো বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, নথি না থাকলে মামলার অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
 

গত রোববার (৫ জানুয়ারি) এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভূঁইয়া।
 

সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয় অবস্থিত, যার আশপাশে বিভিন্ন বিচারকের এজলাস এবং খাসকামরা রয়েছে। দিনের বেলা আদালত ভবন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণায় ব্যস্ত থাকে, কিন্তু সন্ধ্যার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকে। পিপির কার্যালয়ের সামনের বারান্দা থেকে ১,৯১১ মামলার নথি অদৃশ্য হওয়ার ঘটনায় আইনজীবীরা হতবাক।
 

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালত থেকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে যাওয়া কোনো ছোট ঘটনা নয়। বিচারিক কাজে সিডি (কেস ডকেট) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তদন্ত কর্মকর্তারা মামলার ধারাবাহিক অগ্রগতির বিবরণ সিডিতে লিখে রাখেন, যা পরবর্তী তদন্ত কর্মকর্তাদের জন্যও সহায়ক হয়। তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, কেউ মামলার আসামিদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই কাজটি করতে পারে। এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত তা তদন্ত করে বের করা জরুরি।
 

সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভূঁইয়া জানান, জায়গার সংকটের কারণে নথিগুলো বাইরে বারান্দায় রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। হত্যাকাণ্ড, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার নথি প্লাস্টিকের বস্তায় করে বারান্দায় রাখা ছিল। তিনি বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নথি সংরক্ষণের জন্য কক্ষের অভাব দেখা দেয়।
 

কোতোয়ালি থানায় করা জিডিতে বলা হয়, ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট পিপি কার্যালয়ে রক্ষিত ছিল। স্থান স্বল্পতার কারণে গত ২৪ এপ্রিল থেকে এগুলো পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় রাখা হয়েছিল। আদালতের ছুটির মধ্যে, ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে।
 

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিডির ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।