|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০১ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩১ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০১ মার্চ ২০২৫ ০১:৩৯ অপরাহ্ণ

‘অ্যারেস্টের আগে অনুমতি নিতে হবে, নাহলে থানা ঘেরাও’


‘অ্যারেস্টের আগে অনুমতি নিতে হবে, নাহলে থানা ঘেরাও’


কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:-

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা বিএনপির এক নেতার ভাই ও সরকারি কর্মকর্তা শেখ রাসেলের এক বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলছে। সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক মিনিট ২২ সেকেন্ডের ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘কে কোন দল করেছে, সেটা বিষয় নয়। সবাই আমাদের মানুষ। চৌরঙ্গীর মানুষ। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে আমাদের অনুমতি নিতে হবে। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে আমরা সবাই মিলে থানা ঘেরাও করব।’
 

এই বক্তব্যের পরপরই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়।
 

শেখ রাসেল বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক এবং বর্তমানে ময়মনসিংহে কর্মরত। তিনি কুমারখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, পান্টি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম মিলনের ভাই।
 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শেখ রাসেল। সেখানে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা অতীতে অনেক ভুল করেছি, বুঝিনি। আমাদের ক্ষমা করে দিন, আমাদের পাশে থাকুন। মেহেদী রুমীর নেতৃত্বে শেখ সদর উদ্দিনের স্বপ্নের চৌরঙ্গী গড়তে চাই।’
 

ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম মিলন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান, যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী মোল্লা, যদুবয়রা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম আসাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
 

ভিডিওটি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শেখ রাসেল বলেন, ‘আমি বোঝাতে চেয়েছি, কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। তবে যদি আমার বক্তব্যে কোনো ভুল থেকে থাকে, সেটা স্লিপ অব টাং।’
 

এদিকে, তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া উচিত হয়নি, বিএনপি এ ধরনের বক্তব্য সমর্থন করে না।’
 

কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘পুলিশ কারো নির্দেশনায় চলে না, পুলিশ তার নিজস্ব নীতিতে চলে।’


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫