|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:২২ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

কুড়িগ্রামে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ৩ সাংবাদিকসহ ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা


কুড়িগ্রামে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ৩ সাংবাদিকসহ ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা


ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সাংসদ জাকির হোসেনের (৫৮) নামেমামলা হয়েছে। এ মামলায় প্রতিমন্ত্রীর ছেলে সাফায়েত বিন জাকির (৩১), স্থানীয় তিন সাংবাদিকসহ এজাহারভুক্ত ৩০ জন এবং অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 
 

গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন, শামীম, মিস্টার ইয়াং ও বুকুল হোসেন। এজাহারনামীয় স্থানীয় ৩ সাংবাদিক হলেন, আমাদের সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি সুজাউল ইসলাম সুজা, দিনকালের উপজেলা প্রতিনিধি শাহারিয়ার নাজিম ও স্থানীয় সাংবাদিক শাকিল আহাম্মেদ। সুজা সা‌বেক প্রতিমন্ত্রী জা‌কির হো‌সে‌নের চাচা এবং শা‌কিল আপন চাচা‌তো ভাই ব‌লে জানা গে‌ছে। 
 

২০১৮ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বেলাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রৌমারী থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। বেলাল হোসেন (৩৪) রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের চরসাজাই এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে। ২০১৮ সা‌লের জাতীয় নির্বাচ‌নে তি‌নি বিএন‌পি দলীয় প্রার্থীর নির্বাচ‌নি প্রচারণায় অংশ নিয়ে‌ছি‌লেন ব‌লে মামলার এজাহা‌রে উ‌ল্লেখ ক‌রে‌ছেন।
 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রৌমারী থানার পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লুৎফর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 
 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মো. আজিজুর রহমানের পক্ষে মাইকে প্রচার চালায় বেলাল হোসেন। ১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুর ২টার দিকে রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনয়নের রৌমারী বাজার যাওয়ার পথে বেহুলারচর নামক স্থানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জাকির হোসেনের পক্ষের কয়েকজন কর্মী তাদের পথরোধ করে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে মারধর করে। এ সময় মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের নির্দেশে রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেয়নি। পরে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। 
 

এজাহারনামীয় সাংবাদিক শাহারিয়ায় নাজিম বলেন, শনিবার যে মামলাটি হয়েছে সেটি রৌমারী থানায় হয়েছে। আর যিনি মামলা করেছেন ওনার বাড়ি হচ্ছে রাজিবপুর। আমি তার সঙ্গে ২০১৮ সালে এক সঙ্গে কাজ করেছি, মাঠ করেছি। আমি ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী জেলা ছাত্রদলের সদস্য এবং রৌমারী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। ২০১৮ সালে আমি সেক্রেটারি প্রার্থী ছিলাম। এমপি প্রার্থী যে ছিলেন তার সঙ্গে একসঙ্গে ছিলাম কাজ করেছি এবং যে মামলার বাদী আমি তার সঙ্গেও কাজ করেছি। উনি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন, উনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। 
 

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫