|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:৫৫ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৩০ অপরাহ্ণ

গাইবান্ধা বাণিজ্য মেলায় ছুরিকাঘাতে তিন ছাত্রনেতা আহত, থানার সামনে বিক্ষোভ


গাইবান্ধা বাণিজ্য মেলায় ছুরিকাঘাতে তিন ছাত্রনেতা আহত, থানার সামনে বিক্ষোভ


গাইবান্ধা প্রতিনিধি:-

 

গাইবান্ধার স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ মাঠে চলমান বাণিজ্য মেলায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা আহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
 

আহতরা বর্তমানে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম আকাশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি সংগঠনটির গাইবান্ধা জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। আহত অন্য দুইজন হলেন মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সদস্য সচিব শেফাউর রহমান।
 

এই ঘটনার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা রাত ১২টার দিকে গাইবান্ধা সদর থানা ঘেরাও করেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
 

হামলার পটভূমি প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ছাত্রনেতাদের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বাণিজ্য মেলার শেষ দিন ছিল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শরিফুল ইসলাম আকাশ, মেহেদী হাসান ও শেফাউর রহমান মেলায় ঘুরতে যান। এ সময় তাঁরা একটি দোকানের সামনে এক নারীকে হেনস্তার ঘটনা লক্ষ্য করেন এবং তাতে বাধা দেন। এতে দুর্বৃত্তদের একটি দল ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়।
 

এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে শরিফুল ইসলাম আকাশ গুরুতর আহত হন। তাঁর পেটে গুরুতর জখম হওয়ায় প্রায় ৫০টি সেলাই দিতে হয়েছে। অন্য দুইজনকেও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
 

প্রতিবাদ ও থানা ঘেরাও হামলার পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা শহরের ডিবি রোডে বিক্ষোভ করেন। এরপর রাত ১২টার দিকে শতাধিক নেতাকর্মী গাইবান্ধা সদর থানা ঘেরাও করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
 

বিক্ষোভকারীরা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে ‘দুর্বল প্রশাসন, লজ্জা লজ্জা’ বলে স্লোগান দেন। রাত দেড়টা পর্যন্ত থানা ঘেরাও কর্মসূচি চলছিল।
 

নেতাকর্মীদের প্রতিক্রিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মিয়া অভিযোগ করেন, ‘ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। এটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের একটি ন্যক্কারজনক প্রচেষ্টা।’
 

তিনি আরও বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এতক্ষণে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল। যতক্ষণ না হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
 

পুলিশের প্রতিক্রিয়া গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত এঞ্জেলা বলেন, ‘আমরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছি। পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে এবং দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি ছাত্রদের শান্ত রাখার চেষ্টা চলছে।’


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫