এক এবং অভিন্ন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বললেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশকালঃ
০৩ জুন ২০২৩ ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ ৯৮ বার পঠিত
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। যেকোনো মূল্যে আমাদের জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই।
একটি স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক গোষ্ঠী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিনষ্টে নানা চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে।
আজ শুক্রবার লাকসাম পৌরসভা মিলনায়তনে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতাকর্মী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এই কথা বলেন। সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নবাব নারী জাগরণ ও শিক্ষার অগ্রদূত মহীয়সী নারী নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর জন্মভূমি পরিদর্শন উপলক্ষে ওইদিন সকালে লাকসাম উপজেলা প্রশাসন ও লাকসাম পৌরসভারযৌথভাবে এই মতবিনিময়সভার আয়োজন করে।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজা মতিনের সভাপতিত্বে এবং লাকসাম শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম হিরার প্রাণবন্ত সঞ্চালণায় মতবিনিময়সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. কাবিরুল ইসলাম খান, লাকসাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনূছ ভূঁঞা, লাকসামপৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, লাকসাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. তাবারক উল্লাহ কায়েস প্রমুখ।
কে এম খালিদ এমপি বলেন, 'নারী শিক্ষার অগ্রদূত উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী কেবলমাত্র কুমিল্লার লাকসামের নয়; তিনি গোটা দেশের সম্পদ। এই মহীয়সী নারীর স্মৃতি রক্ষায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যথাসাধ্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।'
তিনি আরো বলেন, 'দেশের বিভিন্ন এলাকায় জনকল্যাণে নিজেদের সমর্পণ করেছে এমন বহু গুণীজনদের স্মৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
ওইসব মনিষী ও মহীয়সীদের ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। এ ছাড়া, তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছেন।'
মতবিনিময়সভা শেষে মন্ত্রী দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর জমিদার বাড়ি, নবাব ফয়জুন্নেছা ওবদরুন্নেছা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয় এবং নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রী নবাব ফয়জুন্নেছাচৌধুরাণীর বাড়ির বিভিন্ন কক্ষ, অতিথিশালা এবং তার ব্যবহার্য্য নানা জিনিসপত্র ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে মন্ত্রী নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর নির্মিত ১০ গম্বুজ মসজিদের পাশে সমাহিত ওই মহীয়সী নারীর কবর জিয়ারত ও বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফারহানুর রহমান, উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজ, সাংবাদিক এম এস দোহা, গোবিন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন শামীম, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবু ছায়েদবাচ্চু প্রমুখ।