সবুজে ঘেরা কাপ্তাই হ্রদ

পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর একটা বিষয় হচ্ছে ভ্রমণ করা। ভ্রমণ করার ইচ্ছাশক্তি জীবনে থাকা প্রয়োজন। ভ্রমণের ফলে জীবনে অনেক ধরনের ইতিবাচক মানসিক পরিবর্তন আসে। ভ্রমণ মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। ভ্রমণ আপনার জীবনের কাজের ধকল থেকে আপনাকে একটু আরাম দেবে। কাজের স্পৃহা বাড়াবে। প্রত্যেকের উচিত সময় সুযোগ এবং প্রবল ইচ্ছা শক্তি নিয়ে ঘুরতে যাওয়া।
ভ্রমণের একটা অসম্ভব সুন্দর জায়গা নিয়ে কথা বলবো। জায়গাটির নাম কাপ্তাই হৃদ। বাংলাদেশের বৃহত্তম হ্রদ হচ্ছে কাপ্তাই। কাপ্তাই হ্রদের জলরাশি সবুজ। কাপ্তাই হ্রদকে ঘিরেই মূলত রাঙামাটি জেলার পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। কৃত্রিম হলেও প্রকৃতি তার সমস্ত রূপে উজাড় করে সাজিয়েছে কাপ্তাই হ্রদকে। সারাবছরই কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণের জন্য যাওয়া যায়। একেক সময় কাপ্তাই হ্রদ একেক রূপ প্রকাশ করে ৷ এই হ্রদের ওপর রয়েছে বিখ্যাত ঝুলন্ত ব্রিজ। হ্রদের দুই ধারই সবুজ পাহাড়-টিলা দিয়ে ঘেরা। ট্রলার ভাড়া করে হৃদের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। হ্রদের পাড়ে রয়েছে নতুন চাকমা রাজবাড়ি ও বৌদ্ধ মন্দির। পুরনো চাকমা রাজবাড়ি কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের সময় হ্রদের তলিয়ে যায়। রাজবন বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম বিহার রাঙামাটি শহরের অদূরেই অবস্থিত, যা পুণ্যার্থী এবং দর্শনার্থীদের অন্যতম আর্কষণীয় স্থান। প্রকৃতি প্রেমিরা বোট বা নৌকা ভাড়া করে হ্রদের জলে ভাসতে ভাসতে লেকের চারপাশের প্রকৃতি দেখে নিতে পারেন। ট্রলারে করে যেতে পারবেন শুভলং ঝর্ণায়।
কাপ্তাই লেক কিভাবে যাবেন
ঢাকার সায়েদাবাদ কিংবা কমলাপুর থেকে বিভিন্ন মানের বাসে করে সরাসরি কাপ্তাই যাওয়া যায় এক্ষেত্রে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগে। এছাড়া আপনি চাইলে চট্টগ্রাম থেকেও কাপ্তাই যেতে পারেন। বদ্দারহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর অন্তর কাপ্তায়ের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়, ভাড়া ৮০-১২০ টাকা। সময় লাগবে ২ ঘণ্টার মতো। ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম এসে বদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে কাপ্তাই যেতে পারবেন।
বান্দরবান থেকে কাপ্তাই যেতে চাইলে রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে রাঙ্গামাটি গামী বাসে করে গিয়ে বড়ইছড়ি নেমে সিএনজি দিয়ে কাপ্তাই যেতে পারবেন। রাঙ্গামাটি থেকে সড়ক পথে বাসে কিংবা সিএনজিতে অথবা ট্রলার নৌকায় কাপ্তাই লেক হয়ে কাপ্তাই বাজার যাওয়া যায়।
থাকার জায়গা
এখানে থাকার জন্য সাধারণ হোটেল থেকে শুরু করে অনেক উচ্চ মনের হোটেল রয়েছে।খরচও আহামরি কিছু নয়। সম্পূর্ণটাই সাধ্যের মধ্যে। এছাড়াও খাবারদাবারের সুব্যবস্থা সেখানে রয়েছে। তবে আপনি চাইলে নিজের প্রয়োজনে স্বার্থে কিছু শুকনা খাবার গ্রহণ করতে পারেন।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫