ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান ফটকের সামনে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো অচলাবস্থা বিরাজ করছে। নবনির্বাচিত মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানো এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গড়িমসির প্রতিবাদে তার সমর্থকরা "ঢাকাবাসী" এর ব্যানারে নগর ভবন অবরোধ করে রেখেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী এবং ব্যাহত হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে ট্রাক দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে অবস্থান করছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন এবং তাদের দাবি আদায়ে অনড় রয়েছেন। অবরোধের কারণে নগর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশ ও বের হতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। জরুরি সেবা প্রদানকারী গাড়িগুলোও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আন্দোলনকারীদের মূল দাবি হলো, অবিলম্বে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ পড়াতে হবে। তারা অভিযোগ করছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে। তাদের দ্বিতীয় দাবি হলো, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অপসারণ। আন্দোলনকারীরা এই উপদেষ্টাকে ‘নবনির্বাচিত মেয়রের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে এর দায়ভার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কেই নিতে হবে।
এদিকে, টানা অবরোধের কারণে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে আশেপাশের সড়কগুলোতেও। সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, বিশেষ করে যারা জরুরি প্রয়োজনে নগর ভবনে কিংবা এর আশপাশের এলাকায় যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরাও তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে বাধা অনুভব করছেন।এ
খন পর্যন্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কিংবা ডিএসসিসির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অবরোধের কারণে যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন নগরবাসী।
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচনী ট্রাইবুনালের রায়ের পর থেকে এর শুরু বলে জানা যায়। তার সমর্থকদের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে তাকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই অচলাবস্থা কবে নাগাদ কাটবে, সেদিকেই তাকিয়ে আছে ভুক্তভোগী নগরবাসী।