ডিম বেচে রেকর্ড ৭০০ শতাংশ মুনাফা মার্কিন কোম্পানির

প্রকাশকালঃ ৩০ মার্চ ২০২৩ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ ৩৫৬ বার পঠিত
ডিম বেচে রেকর্ড ৭০০ শতাংশ মুনাফা মার্কিন কোম্পানির

যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ডিম উৎপাদনকারী কোম্পানি ক্যাল মেইন ফুডসের মুনাফা গত বছর ৭ গুণ বেড়েছে। সে বছর তাদের মুনাফা বেড়েছে ৭১৮ শতাংশ। সেই সঙ্গে তাদের রাজস্ব আয় দ্বিগুণ হয়েছে। ডিমের দাম অনেকটা বাড়ার কারণে তাদের মুনাফা এতটা বেড়েছে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ক্যাল মেইন ফুডস যুক্তরাষ্ট্রের ডিমের বাজারের ২০ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া প্রান্তিকে তাদের বিক্রীত আধা ডজন ডিমের দাম ছিল ৩ দশমিক ৩০ ডলার, যা তার আগের বছরের একই সময়ের গড় দামের দ্বিগুণের বেশি। সে বছর ডিমের গড় দাম ছিল প্রতি ডজন গড়ে ১ দশমিক ৬১ ডলার।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সাত গুণের বেশি মুনাফা করলেও গত বছর ক্যাল মেইনের ডিম বিক্রি বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ। এতে তাদের সামগ্রিক রাজস্ব ১০৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ দশমিক ৯৭ কোটি ডলার।

কিন্তু তাদের রাজস্ব বৃদ্ধির এ হার মুনাফা বৃদ্ধির চেয়ে অনেক কম। নিট আয় ৩ কোটি ৯৫ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৩২ কোটি ডলার।

খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে ক্যাল মেইনের মুনাফা বাড়বে আগেই ধারণা করা হয়েছিল, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের এ মুনাফা বৃদ্ধির হার সব ধারণা ছাড়িয়ে গেছে। এ খবরে গতকাল প্রাক্‌-লেনদেনে তাদের শেয়ারের দর ৪ শতাংশ বেড়েছে।

গত বছর এভিয়ান ফ্লুর সংক্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক খামারে হাজার হাজার মুরগি মেরে ফেলতে হলেও ক্যাল মেইন জানিয়েছে, তাদের কোনো খামারে এভিয়ান ফ্লু ধরা পড়েনি।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি রাজনীতিবিদদের সমালোচনার শিকার হয়েছে।
এ বাস্তবতায় দেশটির সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ও কেটি পোর্টার ক্যাল মেইনের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পরিবারগুলো পাতে খাবার নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে। সে জন্য তাদের জানা উচিত, ডিমের এই মূল্যবৃদ্ধি সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে, নাকি করপোরেট জগতের অনিয়ন্ত্রিত মুনাফার কারণে।’

২০২০ সালে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে রাতারাতি প্রযুক্তি কোম্পানির ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠে। সে বছর রেকর্ড মুনাফা করে তারা।

এরপর ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে রেকর্ড মুনাফা করে বিশ্বের বড় বড় জ্বালানি কোম্পানিগুলো। এ নিয়ে অনেক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর খাদ্যের দামও অনেকটা বেড়েছে। ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাস জাতিসংঘের খাদ্যমূল্য সূচক রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। যদিও খাদ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মুনাফার চিত্র এত দিন সাধারণের জানার বাইরেই ছিল। এবার তার একটি নমুনা পাওয়া গেল।

তবে সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির সরকারি হিসাবে ডিমের দাম ফেব্রুয়ারি মাসে কিছুটা কমেছে। তা সত্ত্বেও ডিমের দাম এক বছর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি।