সুন্দরবনে প্রথমবারের মতো চালু হলো তথ্যকেন্দ্র

প্রকাশকালঃ ০৭ মে ২০২৩ ০৩:৫০ অপরাহ্ণ ১৬৮ বার পঠিত
সুন্দরবনে প্রথমবারের মতো চালু হলো তথ্যকেন্দ্র

সুন্দরবনে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে ‘ইন্টারপ্রিটেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার’ বা ব্যাখ্যা ও তথ্যকেন্দ্র। আজ শনিবার দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রে এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।

সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে করমজলে তথ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

উদ্বোধনের পর উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুইতলাবিশিষ্ট করমজল ইন্টারপ্রিটেশন ও ইনফরমেশন সেন্টারে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রাণীর মমি, কঙ্কাল ও বিস্তারিত তথ্যসংবলিত পুস্তিকা বা লিফলেট থাকবে। সুন্দরবনের বিশালতা, গাছগাছালি, প্রাণীবৈচিত্র্য, নদীনালাসহ সব বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে এই কেন্দ্রে। একই সঙ্গে সুন্দরবন সম্পর্কে দর্শনার্থীদের ব্যাখ্যা করেও বোঝানোর ব্যবস্থাও থাকবে।


সুন্দরবনকে রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট বিস্ময়কর এক বন হলো সুন্দরবন। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনার মানুষের ঢাল হয়ে থাকে সুন্দরবন। এই সুন্দরবনকে রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। বনের সুরক্ষায় বনের অভ্যন্তরে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন ও জীববৈচিত্র্যের কোনো ক্ষতি হয়, এমন কিছু না করার ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।


করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, এই ধরনের তথ্যকেন্দ্রের খুব প্রয়োজন ছিল। প্রতিদিন এই বনে দেশি–বিদেশি পর্যটকেরা আসেন। কিন্তু বন সম্পর্কে তাঁরা সঠিক ধারণা পান না, কারণ তাঁদের প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্যকেন্দ্র বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ছিলেন না। পর্যটকেরা সুন্দরবনকে উপভোগ, সুন্দরবন সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পাশাপাশি সুন্দরবন সম্পর্কে শিক্ষা ও গবেষণার কাজে লাগবে এই তথ্যকেন্দ্র।

কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে দর্শনার্থীদের জন্য করমজলের নলবুনিয়া খালের ওপর একটি ঝুলন্ত সেতুর উদ্বোধন এবং কেন্দ্রের কুমির প্রজননকেন্দ্র থেকে ছয়টি কুমির বনের খালে অবমুক্ত করেন উপমন্ত্রী।

এর আগে কেন্দ্র উদ্বোধনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব প্রমুখ।