রবিবার (৯ জুন) শপথ গ্রহন করবেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশকালঃ ০৬ জুন ২০২৪ ০৫:১৪ অপরাহ্ণ ১০৩ বার পঠিত
রবিবার (৯ জুন)  শপথ গ্রহন করবেন নরেন্দ্র মোদি

সব ঠিকঠাক চললে রবিবার (৯ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শপথ নিতে পারেন তিনি। এর আগে শোনা তিনি শনিবার শপথ নিতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেছেন।


একই সঙ্গে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই পদের দায়িত্ব সামলাতে মোদিকে অনুরোধ করেছেন মুর্মু। এর আগে শোনা গিয়েছিল, আগামী রবিবার অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন তেলগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। তার আগের দিন শপথ নেওয়ার কথা ছিল মোদির। এখন সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি বলছে, রবিবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন মোদি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১২ জুন চন্দ্রবাবু শপথ নিতে পারেন। এ ছাড়া বিজেপির সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল, ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক।

 

মঙ্গলবার দেশটির ৫৪৩টি আসনের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি আসন। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। অন্যান্য দলের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ১৮টি। তাৎপর্যপূর্ণ হলো, এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ২০১৪ ও ২০১৯ সালের মতো এবার বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কারণ ৫৪৫ আসনের (দুটি মনোনীত আসনসহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি আসন।

 

বিজেপি এককভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন। তাই সরকার গঠন করতে তাদের এবার শরিক দলগুলোর উপর নির্ভর করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বুধবারই এনডিএর শরিকদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেন মোদি, অমিত শাহরা। একই সঙ্গে দিল্লিতে বুধবার সন্ধ্যায়ই বৈঠক রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদেরও।
এনডিএ শরিকদের ভরসায় সরকার গড়তে হবে মোদিকে। এই পরিস্থিতিতে কোনো একটি শরিক দলও যদি বেঁকে বসে, তবে সমীকরণ বদলে যেতে পারে।

 

অনেকের মতে, সেই কারণেই বেশি সময় নিতে চাইছেন না মোদি। চলতি সপ্তাহেই শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান হতে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর্যালোচনা করতে বুধবার বৈঠকে বসেন মোদি। সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক শুরু হয়। এটিই ছিল দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রী পরিষদের শেষ বৈঠক। সেখানেই শপথগ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার যদিও শপথের দিন বদলের খবর প্রকাশ্যে এলো।