কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ও আলুর দাম দ্বিগুণ, চরম বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশকালঃ ১১ মে ২০২৪ ০৫:৫২ অপরাহ্ণ ৯৫১ বার পঠিত
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ও আলুর দাম দ্বিগুণ, চরম বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-

 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ ও আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার সব হাটবাজার গুলোতেই সকল প্রকার সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক দুই সপ্তাহে আগেও ফুলবাড়ী, বালারহাট ও খরিবাড়ীহাটসহ অধিকাংশ হাট-বাজার গুলোতে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা ও আলু ৪০ থেকে ৪৫ দরে বিক্রি হয়েছে।

 

কিন্তু গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের কেজি ১২০ টাকা ও আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কাঁচামরিচ ও আলুর দামের সাথে করলা ৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা,পটল ৫০ টাকা, ঝিয়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকা, জালি কুমড়া পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, পিয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, আধা ২৬০ টাকা, সজিনা ৬০, টমেটো ৩০ টাকা, শসার কেজি ২০ টাকা ও বরবটি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষজন। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন।

 

উপজেলার কুরুষাফেরুষা গ্রামের দিনমজুর কাসেম আলী ও পূর্বফুলমতি এলাকার নজরুল ইসলাম জানান, বালারহাট বাজারে কাঁচা মরিচের ১২০ টাকা ও আলুর কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ কিভাবে মরিচ ও আলু কিনবো। এভাবে দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদের পক্ষে কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শুধু মরিচ-আলু না। বাজারে পটল, করলাসহ সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।। জীবন বাঁচানোর তাগিতে একটু একটু করে ক্রয় করতে হয়। এই দুই দিনমজুর আরও জানান, মরিচ আলুসহ এ সব সবজির দাম না কমলে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে জীবন-যাপন করতে হবে।

 

নাওডাঙ্গা এলাকার নির্মল চন্দ্র রায় ও সণ্জু মিয়া জানান, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার। ধান চাষের উপর নির্ভরশীল। এক দিকে দ্রব্যমূল্যের দাম উর্ধমূখী আবার সবজির বাজারও আগুন। এভাবে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের অবস্থা কি হবে?

 

বালারহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা দিলীপ চন্দ্র দেবনাথ ও হেলাল মিয়াসহ অনেকেই জানান, বাজারে কাঁচামরিচের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। এই মরিচগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে। অতি খরার কারণে মরিচের ফলন কমে যাচ্ছে। তারপরেও স্বল্প পরিসরে আসছে । আমরা প্রতিকেজি মরিচ ক্রয় করছি ১০০ টাকা আর বিক্রি করছি ১২০ টাকা। আমদানি কম থাকা মরিচ, আলুসহ সব ধণের সবজির দাম বেড়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলে দাম কমে যাবে বলে জানান এই খুচরা ব্যবসায়ীরা।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন গুরুত্বসহকারে কাজ করছে। যদি কোন ব্যবসায়ী কাঁচা মরিচ ও আলুসহ বিভিন্ন সবজির কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।