প্রকাশকালঃ
০৫ এপ্রিল ২০২৩ ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ ২১৩ বার পঠিত
মানুষের জীবনে নানা সময় ভয়াবহ বিপদ নেমে আসে। বিপদে আক্রান্ত হলে ধৈর্য ধারণ করে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সবার কর্তব্য। এসব বিপদ থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) একটি দোয়া পড়তেন। তা হলো
অর্থ : ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি ওপর থেকে পড়ে যাওয়া, ঘরচাপা পড়া, পানিতে ডুবে যাওয়া ও অগ্নিদগ্ধ হওয়া থেকে। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি মৃত্যুকালে শয়তানের ছোঁ মারা থেকে। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি আপনার পথ থেকে পলায়ন অবস্থায় মারা যাওয়া থেকে এবং আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি সাপের দংশনে মৃত্যু হওয়া থেকে।’
আবুল ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তেন। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস নম্বর : ৫৫৩১)
অনেক আলেম বলেছেন, অগ্নিকাণ্ড ঘটলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা মুস্তাহাব। তা আগুন নেভাতে ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে। এই বিষয়ে একটি হাদিস রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কোথাও আগুন দেখলে তাকবির বা ‘আল্লাহু আকবার’ অর্থাৎ আল্লাহ মহান বলো। কেননা তা আগুন নিভিয়ে দেবে।’ (আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাতি, পৃষ্ঠা : ২৯৫; তাবরানি : ১/৩০৭)।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেছেন, ‘নামাজ, আজান ও ইকামতের সময় তাকবির পড়া হয়। তা ছাড়া সাফা, মারওয়াসহ উঁচু স্থানে উঠলে বা বাহনে আরোহণ করলে তাকবির পড়া মুসতাহাব। আগুন যতই ভয়াবহ হোক; তাকবির ধ্বনিতে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে।’ (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা : ৫/১৮৮)