যেকোনো পরিস্থিতিতে মনকে শান্ত রাখার কৌশল

প্রকাশকালঃ ২৮ জুলাই ২০২৪ ০২:৩৫ অপরাহ্ণ ৬৫ বার পঠিত
যেকোনো পরিস্থিতিতে মনকে শান্ত রাখার কৌশল

কাজের চাপ, ব্যক্তিগত সমস্যা, মানসিক চাপ, সামাজিক পরিস্থিতি অনেক ক্ষেত্রেই মন অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। আবার মনের ওপর চাপ কমাতে কাজের মাঝে বিরতি নেওয়াও সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। মন অশান্ত থাকলে কোন কাজ ভালো হয় না। এমনকি শারীরিক ও মানসিকভাবেও অসুস্থতা বাসা বাধে। যেকোনো পরিস্থিতিতে মনকে শান্ত রাখার কিছু কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শাহনীলা তৈয়ব।    

 

মন শান্ত রাখতে হলে সামাজিক দক্ষতা ভালো থাকতে হবে। এক্ষেত্রে দুটো বিষয় রয়েছে। একটি হলো, কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। দুই, সমস্যা সমাধানের কৌশল রপ্ত করতে হবে। এই দুটো যখন একজন মানুষের মধ্যে থাকবে, তখন তিনি কোনো অস্থিরতায় ভুগবেন না এবং দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।

 

কোনো কিছু ঘটার পর আমরা যখন অস্থির বোধ করি, তখন এসব মুহূর্তে তাই অনেকেরই ঠোঁট ও গলা শুকিয়ে যায়, দমবন্ধ বোধ হয়। এ সময় পানি পান করতে হবে। এছাড়া ধীরে ধীরে নিশ্বাস নিতে হবে এবং ছাড়তে হবে। এভাবে শরীরে পানি ও অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারলে শরীর ও মন দুটোই শান্ত হবে।ব্যর্থতা জীবনের অংশ। এটি মেনে নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। ভাবতে হবে, সফলতার একটি ধাপ ব্যর্থতা। পরাজয় হলেও সেটি থেকে কীভাবে উঠে দাঁড়াতে হবে, সেটি শিখতে হবে।

 

আমরা অনেক সময় ক্যারিয়ার, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এগুলোর দিকে তাকাতে গিয়ে পরিবার ও সমাজকে সময় দিতে পারি না; আনন্দ উপভোগ করতে পারি না। এটা অনেক সময় আত্মঘাতী হয়ে যায়। কিন্তু এটি না করে পরিবার ও নিজের কাছের মানুষদের সময় দিতে হবে। এটি উদ্বেগ কমিয়ে মনকে শান্ত রাখতে কাজে দেবে।মনকে শান্ত রাখতে কিন্তু শরীরের যত্ন নিতে হবে। নিয়মানুবর্তী জীবনযাপনের অভ্যাস করতে হবে। রাতে জেগে থাকা, দিনে ঘুমানো এ ধরনের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।

 

ব্যক্তিগত জীবন বা কর্মক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে নিজের সক্ষমতার জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আগে থেকেও ভাবতে হবে, বিপদে পড়লে কী করব। কোথা থেকে সাহায্য পাব? কোন সাহায্যটা সবার আগে নেব? মনকে শান্ত রাখার একটি কৌশল হতে পারে ধ্যান। ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, প্রকৃতির কাছে যাওয়া ইত্যাদি মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। 

 

মনটা কোনো কারণে অস্থির। প্রিয়জনের বা কাছের কোনো মানুষের আলিঙ্গন বা একটু স্পর্শ মনকে শান্ত করে দেয়। এ সময় অক্সিটোসিন হরমোনের নিঃসরণের ফলে দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা দূর হয়। ধরা যাক, আপনি এমন একটা জায়গায় কাজ করেন, চারপাশে অনেক শব্দ, উচ্চ স্বরের কথাবার্তা। হেডফোন দিয়ে তখন কোনো গান শুনলে আরও মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারবেন। হট্টগোল এড়িয়ে নিজের মতো করে কাজ করার ক্ষেত্রে সংগীত টনিকের মতো কাজ করে।

 

কেউ কোনো কিছু ভালো করলে আমরা প্রশংসা করি, বাহবা দিই। সব সময় অন্যের থেকে প্রশংসা পেতে হবে, বাহবা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, এমনটা নয়। আপনি নিজেই নিজের আনন্দ উদযাপন করতে পারেন। নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর অভ্যাস থাকলে দেখবেন, মনটা শান্ত থাকবে।