|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২২ জুন ২০২৩ ১২:৩২ অপরাহ্ণ

নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে পানির নিচে ‘শব্দ’ শনাক্ত


নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে পানির নিচে ‘শব্দ’ শনাক্ত


টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যটনে ব্যবহৃত একটি সাবমেরিন নিখোঁজ হওয়ার পর উত্তর আটলান্টিকে ব্যাপক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।  নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের খোঁজে তল্লাশিরত কানাডার একটি আকাশযান পানির নিচে ‘শব্দ’ শনাক্ত করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড।

বুধবার ভোররাতে কয়েকটি টুইটে তারা জানায়, মঙ্গলবারের এ অগ্রগতি অনুসন্ধানকারী দলকে তাদের পানির নিচের রবোটিক (আরওভি) তল্লাশি অভিযানের এলাকা নতুনভাবে র্নিধারণ করে ‘ওই শব্দের উৎস বের করার উদ্যোগ নিতে’ সহায়তা করবে।

মার্কিন কোস্টগার্ড জানিয়েছে, আরওভি (দূর থেকে চালিত যান) মাধ্যমে নতুন করে নির্ধারিত এলাকাগুলোতে যে তল্লাশিগুলো চালানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত সেগুলো নিস্ফল হলেও অভিযান চলবে।


কানাডার একটি পি-৩ আকাশযান টাইটানের খোঁজে একটি অনুসন্ধান এলাকায় পানির নিচের ওই ‘শব্দ’ শনাক্ত করেছে বলে কোস্টগার্ড নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরীণ মেমো উদ্ধৃত করে সেটি ‘আঘাতের মতো শব্দ’ বলে জানিয়েছে।

কিন্তু এই শব্দ কতোক্ষণ স্থায়ী ছিল এ বিষয়ে কোস্টগার্ড বিস্তারিত কিছু জানায়নি। সিএনএন ও রোলিং স্টোন সাময়িকী পৃথকভাবে জানিয়েছে, কানাডীয় বিমানটি তল্লাশি এলাকায় ৩০ মিনিটের ব্যবধানে শব্দগুলো শনাক্ত করেছে।


টাইটান নামের ওই টুরিস্ট সাবমেরিন পাঁচজন আরোহী নিয়ে রোববার কানাডার উপকূলীয় আটলান্টিক মহাসাগরে ডুব দেওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় এর সঙ্গে পানির ওপরে থাকা জাহাজ পোলার প্রিন্সের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এরপর থেকে উত্তর আটলান্টিকের বিশাল এলাকাজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হলেও মঙ্গলবার শেষ খবর পর্যন্ত ডুবোযানটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।


১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের নিউ সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম যাত্রায় বিশাল আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল তখনকার সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিক, প্রাণ গিয়েছিল দেড় হাজার মানুষের।

দুটুকরো হয়ে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষটি রয়েছে আটলান্টিকের ৩ হাজার ৮০০ মিটার নিচে। ১৯৮৫ সালে ওই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।

এর আরোহীদের মধ্যে ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান এবং ব্রিটিশ অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের সঙ্গে ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি পল হেনরি নারজুলেত ও ওশেনগেইটের প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাশও রয়েছেন।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫