|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৭ জুলাই ২০২৫ ১১:৪৬ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৬:০১ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশকে ব-দ্বীপ বলা হয় কেন?


বাংলাদেশকে ব-দ্বীপ বলা হয় কেন?


আসলে ব-দ্বীপ সম্পর্কে ধারনা পাওয়ার জন্য আমাদের একটা বিষয় সম্পর্কে জানা দরকার। ব-দ্বীপ শব্দটি আসলে গ্রিক ∆ (ডেলটা) এর থেকে এসেছে। ব-দ্বীপ সমুহকে ইংরেজীতে Delta বলা হয় কারন এর গঠন অনেকটা গ্রিক ∆ এর মতো। বাংলায় ব বর্ণটির সাথে ডেলটা এর মিল থাকায় বাংলায় ব-দ্বীপ নামটি প্রচলিত হয়।

এবার আসা যাক, ব-দ্বীপ কি সেই ব্যাপারে, ব-দীপ আসলে এমন একধরনের প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ভূমি যার অধিকাংশ ভূমি নদীর মোহনায় নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ত্রিকোণাকার ভূমি। এই ধরনের ভূমিকে ব-দ্বীপ বলা হয়। 

বাংলাদেশের অধিকাংশ ভূমি হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা এবং তাদের উপনদীগুলোর মিলিত সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। এই নদীগুলো প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে পলিমাটি বহন করে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় নিয়ে আসে। এই পলিমাটি সমুদ্রের জলের সাথে মিশে ত্রিকোণাকার ভূমি গঠন করে।

এই ব-দ্বীপের আয়তন প্রাহ ৭৭,০০০ বর্গ কিলোমিটার তবে কারো কারো মতে তা ৮০,০০০ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ। এই ব-দ্বীপকে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ, সুন্দরবন ব-দ্বীপ, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা ব-দ্বীপ এবং গ্রিন ডেলটা নামে পরিচিত। 

বঙ্গীয় ব-দ্বীপের অধিকাংশ অংশ বাংলাদেশে অবস্থিত বলে এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ ভূমি ব-দীপ ধরনের বলে বাংলাদেশকে ব-দ্বীপ ও বলা হয় । এই ব-দ্বীপের ভূমি অত্যন্ত উর্বর এবং ফসলের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

বাংলাদেশের ব-দ্বীপের কিছু বৈশিষ্ট্য হল:

  • এটি ত্রিকোণাকার আকৃতির।

  • এটি নদীর মোহনায় অবস্থিত।

  • এটি নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্টি হয়েছে।

  • এটি অত্যন্ত উর্বর।


বাংলাদেশের ব-দ্বীপ একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। এই ব-দ্বীপের ফলে বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এই ব-দ্বীপের ভূমিতে প্রচুর পরিমাণে ফসল উৎপাদিত হয়। এছাড়াও, এই ব-দ্বীপের নদীগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫