|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৪ মে ২০২৫ ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১২ অপরাহ্ণ

সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে এসপির বিরুদ্ধে ভিডিও-ছবি ডিলিটের অভিযোগ


সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে এসপির বিরুদ্ধে ভিডিও-ছবি ডিলিটের অভিযোগ


আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-


 

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় ভিডিও এবং ছবি তোলায় কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের নির্দেশে এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও এবং ছবি ডিলিট করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় চিলমারী উপজেলায়। 
 

জানা যায়,গত ১০ এপ্রিল সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর শহড়ের মোড় এলাকায় ঈদে চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতুতে ঘুরতে যাওয়া মা-মেয়েকে উত্যক্তের অভিযোগে মাইকিং করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কুড়িগ্রাম সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এঘটনার পর রাত  সাড়ে ১০টার দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান। এসময় স্বদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি ও চিলমারী সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাদ্দাম সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ছবি এবং ভিডিও নিতে গেলে পুলিশ সুপার ফোন কেড়ে নেবার নির্দেশ দেন। এসময় পুলিশ সুপারের বডি গার্ড ওই সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ধারণ করা ভিডিও ডিলিট করেন। এতেই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ সুপার, তিনি সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, মিডিয়া ছুটাই দেব। এ ঘটনায় চিলমারী ও জেলার সাংবাদিক সমাজ তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে।
 

ভুক্তভোগী সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার আসার খবর শুনে সেখানে গিয়ে ভিডিও ও ছবি তোলার সময় এসপি সাহেব আমার উপর চড়াও হন এবং সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাতে থাকা ফোনটি কেড়ে নিতে বললে সাথে থাকা এক পুলিশ সদস্য ফোনটি কেড়ে নিয়ে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করেন।
 

রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা জানান, আমি ওই সময় একটু দূরে ছিলাম। পরে বিষয়টি উক্ত সাংবাদিকের কাছে শুনেছি।
 

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান জানান, কোনো সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে এ ধরণের আচরণ করতে পারে না। এজন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী,তাকে সবার সাথে ভালো আচরণ করা উচিৎ বলে জানান তিনি।
 

চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ১০টার পরে এসপি স্যার এসেছিলেন। কিন্তু ফোন কেড়ে নেবার ঘটনা আমার জানা নেই।
 

এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানকে একাধিক বার কল এবং ম্যাসেজ দিয়েও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫