চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) কর্মবিরতি

প্রকাশকালঃ ০৮ জুলাই ২০২৪ ০৪:৫৯ অপরাহ্ণ ৫৮০ বার পঠিত
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) কর্মবিরতি

গত ১৩ মার্চ ২০২৪ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে অচলাবস্থা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

 

জারিকৃত 'প্রত্যয় স্কিম' প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৫,২৬,২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়ায় ১ জুলাই হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।


 
উক্ত কর্মবিরতির ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম। উপরন্তু কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করা নিয়ে জটিলতা ও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘হলের ডাইনিং বন্ধ থাকায় আমাদের খাবারের জন্য বাইরের হোটেল ও ক্যান্টিনে যেতে হচ্ছে। সেগুলো তুলনামূলক নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর।


ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় আমরা সেশন জটে পড়ছি। অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিমধ্যে পিছিয়ে আছি।’ কর্মবিরতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সমাপনী বর্ষের (১৮ ব্যাচ) শিক্ষার্থীরাও। একাডেমিক সকল কার্যক্রম শেষ হলেও সনদ পেতে দেরি হচ্ছে তাদের। এতে তারা চাকরি বা উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারছেন না।


সমাপনী বর্ষের তাসনিয়া রহমান প্রমি জানান, ‘কর্মবিরতির জন্য ১১ তারিখ ফাইনাল রেজাল্ট দিবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান। সেই সাথে ক্লিয়ারেন্স এর কাজ করতে পারছি না। সঠিক সময়ে সার্টিফিকেট ও পাবো না। ফাইনাল রেজাল্ট ছাড়া মাস্টার্স কিংবা চাকরিতে এপ্লাই করতেও সমস্যা হচ্ছে।’ 


এদিকে সমন্বিত ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিতব্য ২০২৩-২৪ সেশনের নতুন শিক্ষার্থীদের শেষ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম ৩-৪ জুলাই হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৪-১৫ জুলাই নেয়া হয়েছে। এতে নতুন ভর্তিচ্ছুরাও দুশ্চিন্তায় রয়েছে।

 

চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শিক্ষকরা সবসময় চাই যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক দিক দিয়ে একদিনও না পেছায়। আমরা অনেকটা জোর করেই সবসময় ওদের  ক্লাস-পরীক্ষা সময়ের মধ্যে নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদেরকে এই পদক্ষেপগুলো নিতে বাধ্য করেছে।’