|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৯ জুন ২০২৫ ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:১৩ অপরাহ্ণ

ভারতীয় পেঁয়াজের দাম নামল ৮০ টাকায়


ভারতীয় পেঁয়াজের দাম নামল ৮০ টাকায়


চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারগুলো এখন দেশি পেঁয়াজের দখলে। বাজারে ওঠা পেঁয়াজের তিনচতুর্থাংশই দেশি জাতের। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় বাজারদরও কমতে শুরু করেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ যারা মজুত করেছিলেন তারা লোকসান গুনছেন বলে দাবি করেছে ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে দেশি ও ভারত থেকে আমদানি পেঁয়াজ প্রায় একই দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা কেজি দরে। আর দেশি পেঁয়াজও ৭০৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।স্থানীয় পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বাবু বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ দিয়ে আরও ৩ মাস ভোক্তার চাহিদা মেটানো যাবে। এ সময়ের মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন নেই। বাজারে গ্রীষ্মকালীর পেঁয়াজ আসায় ব্যবসায়ীদের সিণ্ডিকেট তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি।

আব্দুল লতিফ আরও বলেন, ‘ক্রেতাদের কারণেও বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। দাম একটু বাড়লেই তারা অতিরিক্ত পরিমাণে কেনেন। যার ১ কেজি দরকার তিনিও ৫ থেকে ১০ কেজি কিনে নেন। আর এই সুযোগ কাজে লাগায় ব্যবসায়ীরা।

এদিকে অতিরিক্ত দামে যারা ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কিনে মজুত করেছিলেন তারা লোকসান গুনছেন। মোহাম্মদ বাসির নামে আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানান, তিনদিন আগে জেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে তিনি ভারতীয় পেঁয়াজ কিনেছিলেন ১৫০ টাকা কেজি দরে। এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৭০ টাকা করে লোকসান দিতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮-১০ জন ব্যবসায়ী ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে রেখে লোকসানের মুখে পড়েছেন।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১০০ থেকে ১২০ মণ পর্যন্ত পেঁয়াজ পেয়েছেন চাষীরা। এ পেঁয়াজ বাজারে থাকা পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি দরকার হবে না।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫