উচিৎপুরা ইউনিয়ন বিএনপির তথাকথিত সভাপতি এডভোকেট আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক হানিফ, এবং যুবদলের সদস্য সচিব অহিদুল্লাহ তীব্র গণরোষের মুখে পড়ে ৭ ডিসেম্বর সকালে উচিৎপুরা বাজার থেকে কোনো রকমে পালিয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপি ও যুবদলে পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন কর্মীর কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে।
গত ৫ আগস্ট আনোয়ার, হানিফ এবং অহিদুল্লাহ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি ও যুবদল কর্মী রফি, রিপন, রতন, সোলায়মান, রফিক ও জয়নালের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কমিটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো কমিটি গঠন না করায় ভুক্তভোগীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
বক্তারা জানান, টাকা ফেরত চাইলে তারা নানা টালবাহানা শুরু করেন। টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি, বরং ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করা হয়। এমনকি তাদের ফোন নাম্বার ব্লক করা হয়।
৭ ডিসেম্বর সকালে উচিৎপুরা বাজারে তিন নেতাকে দেখে ভুক্তভোগীরা তাদের ঘিরে ধরেন। এলাকাবাসীর সহায়তায় টাকা ফেরতের দাবি জানালে একপর্যায়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অহিদুল্লাহ পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকার মুরুব্বিরা মধ্যস্থতা করে এবং এক মাসের মধ্যে টাকা ফেরতের মুচলেকা দিয়ে তারা পালিয়ে যান।
এছাড়াও নদীর বালু কাটার শেয়ারের নামে যুবদল নেতা রিপন ও খোকনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ হিমেলের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। উচিৎপুরা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক মিলনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরও ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়।
উক্ত প্রতারণার মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা। ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী ঘোষণা দিয়েছে, এই টাকা এক মাসের মধ্যে ফেরত না দিলে এডভোকেট আনোয়ার, হানিফ ও অহিদুল্লাহকে উচিৎপুরায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। তাদের যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে এলাকাবাসী হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
এই ঘটনা স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং নেতৃত্বের প্রতি আস্থা সংকট দেখা দিয়েছে।