আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-
ঢাকা প্রেসঃ
পটল একটি প্রধান গ্রীস্মকালীন সবজি। বাংলাদেশের সব জেলায় পটল চাষ হয় না। এরমধ্যে বৃহত্তর রংপুর, রাজশাহী, বগুরা,পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর ও খুলনা জেলায় পটল চাষ করা হয়।
কুড়িগ্রামে এ বছর চলতি মৌসুমে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা ভালো দাম পেয়ে অনেক খুশি। বাজারে পটলের বেশি আমদানি হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে ক্ষেতের পটল তুলতে শুরু করে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে ৪০৫ হেক্টর জমিতে পটলের চাষ করেছে এবং কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছে। বাজারে এখন পটল খুচরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। জেলায় পটলের পাশাপাশি নানা জাতের মৌসুমি সবজি আবাদও ভালো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে কুড়িগ্রাম পুরাতন পৌর কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পটল দিয়ে বাজার ভরে গেছে। কৃষকরা ক্ষেত থেকে সরাসরি পাইকারি বাজারের আরৎ এ দিচ্ছে। সেই পটল বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাঁচামাল ব্যবসায়ী (পাইকার) এর নিকট বিক্রি করছে।
কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের পটল চাষী জয়নাল মিয়া জানান, এবার আমার তিন বিঘা জমিতে পটল আবাদ করেছি। আল্লাহর রহমতে খুব ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে দামও ভালো পেয়েছি। আমি সকালে আরৎদারের মাধ্যমে ১২ শ টাকা করে প্রতিমণ পটল বিক্রি করেছি। আশা করছি এবার পটল আবাদে ভালোই লাভ হবে।
পৌর কাঁচা বাজারের আরৎদার এনামুল বলেন,আমার আরৎ থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকাররা এসে কাঁচামাল কিনে নিয়ে যায়। সকালে পটল পাইকারি ৩০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করেছি। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে আমদানি বেশী হওয়ায় ২৭টাকা দরে বিক্রি করতে হয়।আজ বাজারে প্রায় ২৫০শ মণ পটল কেনা-বেচা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামার বাড়ী কুড়িগ্রাম উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ বছর চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় ৪০৫ হেক্টর জমিতে পটল চাষ করা হয়েছে।গত বছর ছিল ৩৯০ হেক্টর। এবার গত বছরের চেয়ে ১৫ হেক্টর বেশি। কৃষকরা ফলন ও দাম ভাল পেয়ে অনেক খুশি।আগামীতে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশা করছি।