|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩৮ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

মেক্সিকান কংগ্রেসে এলাহিকাণ্ড উপস্থাপিত ‘এলিয়েন মৃতদেহ’ নিয়ে


মেক্সিকান কংগ্রেসে এলাহিকাণ্ড উপস্থাপিত ‘এলিয়েন মৃতদেহ’ নিয়ে


মেক্সিকোর কংগ্রেসে উপস্থাপিত হয়েছে ভিনগ্রহীর (এলিয়েন) মৃতদেহ। এ নিয়ে মামলা গড়িয়েছে অনেক দূর। ঘটনায় হয়েছে শুনানিও। মঙ্গলবার দেশটির কংগ্রেসে এই শুনানি হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানিতে মেক্সিকোর সাংবাদিক ও স্বঘোষিত-ইউএফও বিশেষজ্ঞ জেইমি মাউসান দেশটির কংগ্রেসে আইনপ্রণেতাদের সামনে দুটি ছোট ‘দেহাবশেষ’ উপস্থাপন করেন। মমি করা এই দেহাবশেষের প্রত্যেক হাতে তিনটি করে আঙুল এবং এর মাথা লম্বাটে।

জেইমির দাবি, দেহাবশেষগুলো ২০১৭ সালে পেরুতে পাওয়া গিয়েছিল এবং পৃথিবীর কোনও প্রাণির সঙ্গে তাদের মিল নেই। তিনি অতীতেও একই ধরনের বিতর্কিত দাবি করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এই ধরণের ঘটনায় দেশের কংগ্রেসের শুনানি আন্তর্জাতিক মহলে কৌতূহলের পাশাপাশি যথেষ্ট অবজ্ঞার জন্ম দিয়েছে।


সাবেক মার্কিন নৌবাহিনীর পাইলট রায়ান গ্রেভস এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই অপ্রমাণিত স্টান্টের কারণে গভীরভাবে হতাশ।’ গ্রেভস জুলাই মাসে ইউএপি-তে মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন।

জেইমি তার উপস্থাপনায় বলেছে, নমুনাগুলো পেরুর প্রাচীন নাজকা লাইনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপর মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি এটিকে কার্বন-ডেটেড করেছে। তারা বলেছে, দেহাবশেষগুলো হাজার বছরের পুরনো।


পেরুর নাজকা লাইন ঘিরে অনেক রুপকথা প্রচলিত আছে। বেশিরভাগ রুপকথাই এলিয়েন কেন্দ্রিক। তবে অতীতে আবিষ্কৃত এ ধরনের মমিকে পরবর্তীতে শিশুদের দেহাবশেষ হিসেবে প্রমাণ করা হয়েছিল।


পেরুর সংস্কৃতি মন্ত্রী লেসলি উরটেগা বলেছেন, দক্ষিণ আমেরিকার কোনও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানই দেহাবশেষগুলো মানুষের নয় বলে চিহ্নিত করেনি। বরং তাদের প্রশ্ন, এগুলো কীভাবে পেরু থেকে অন্য জায়গায় গেছে।

জেইমি এবং তার সহযোগীদের প্রসঙ্গে বুধবার রাতে উরতেগা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই ভদ্রলোকের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের থেকে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। কি হয়েছে তা দেখার জন্য প্রাক-হিস্পানিক বস্তুর অপসারণ সম্পর্কে আমি তথ্য চাইতে যাচ্ছি। কারণ আমার মনে হচ্ছে এগুলো প্রাক-হিস্পানিক হাড়ের ধ্বংসাবশেষ।’


বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে জেইমি বলেছেন, তার সমালোচকরা এখনও তার দাবির বিরুদ্ধে প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। তারা যা চায় তা হ'ল এই আবিষ্কারের শক্তি কেড়ে নিতে, তবে কেবল সাক্ষ্য দিয়ে, জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এবং বিন্দুমাত্র প্রমাণ ছাড়াই। আমরা বছরের পর বছর ধরে তদন্ত করছি... তারা এখানে এসে শুধু কথা বলে তদন্ত করতে চায়।’

এদিকে, অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু (ইউএফও) নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নাসা। মার্কিন মহাকাশ সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ইউএফও নিয়ে গবেষণার জন্য তারা একজন পরিচালক নিয়োগ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে নাসার কর্মকর্তাদের কাছে মেক্সিকোর কংগ্রেসে উপস্থাপিত কথিত এলিয়েনের দেহাবশেষ নিয়ে শুনানির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। নাসার ইউএফও-সংক্রান্ত প্রতিবেদনটির চেয়ারম্যান ডেভিড স্পারগেল বলেন, তিনি কথিত নমুনার প্রকৃতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫