|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১২ মার্চ ২০২৫ ০৮:৫৭ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১১ মার্চ ২০২৫ ০২:৪৯ অপরাহ্ণ

দুই পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩


দুই পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩


কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:-

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় পুলিশের দুই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইয়ারুল শেখ (৪০) সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
 

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইয়ারুল শেখ উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দিন শেখের ছেলে। অন্য দুজন হলেন- সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা এলাকার মিন্টু শেখের ছেলে সাগর হোসেন (২১) এবং নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে তুহিন হোসেন (৩৬)।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর ভোরে কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয় পুলিশ সদস্য, স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য ও দুই মাঝি মিলে পদ্মার ওপারে চর সাদীপুর এলাকায় এক আসামিকে ধরতে যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকায় থাকা কয়েকজন জেলে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন।
 

ঘটনার পরদিন সদরুল হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং দু’দিন পর মুকুল হোসেনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

 

এই ঘটনায় কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যার অভিযোগে ইয়ারুল শেখকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
 

তবে স্থানীয় জেলেদের দাবি, কয়েকজন পুলিশ সদস্য স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় পদ্মা নদীতে গিয়ে জেলেদের মাছ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি নৌকার লোকজন একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ জানান, ইয়ারুল শেখ দুই পুলিশ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত প্রধান আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি নৌ পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে।
 

নিহত এএসআই মুকুল হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার কালা চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এবং এএসআই সদরুল হাসান পাবনার আতাইকুলা থানার কাজীপুর এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫