প্রকাশকালঃ
২৮ মার্চ ২০২৩ ০২:৫০ অপরাহ্ণ ৬১৩ বার পঠিত
চুল ভালো রাখতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে খাবার। নিয়মিত শাক-সবজি খাওয়া যেমন ভেতর থেকে চুলে পুষ্টি জোগায়, আবার এগুলোর তৈরি প্যাকও চুলের জৌলুস বাড়াতে সাহায্য করে।
সৌন্দর্যের অনেকটাই নির্ভর করে সুন্দর চুলের ওপর। চুল সুন্দর রাখতে ছেলে, মেয়ে উভয়েই চুলে নানা ধরনের প্যাক ব্যবহার করে থাকে। চুল ভালো রাখতে সব সময় দামি পণ্য ব্যবহার করতে হবে তা নয়। রান্নাঘরে থাকা শাক-সবজিও কিন্তু চুলের যত্নে ভালো উপাদান হতে পারে। নিয়মিত বেশি বেশি সবজি খেলে চুল ভালো থাকে। আবার এগুলোর তৈরি নানা প্যাক ব্যবহারও চুলের জন্য উপকারী।
গাজর
গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’। ভিটামিন ‘সি’ চুলের জন্য খুব ভালো। গাজরের রস বেশ পুষ্টিকর। ভিটামিন ‘সি’যুক্ত এই রস চুলের জন্য খুবই উপকারী। গাজরের রসে আছে বিটাক্যারোটিন, যা চুলের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত গাজর খেলে চুলের গোড়া মজবুত হয়।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর সালফার। নতুন চুল গজাতে সালফার বেশ কার্যকরী। পেঁয়াজের রস চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুল কালো করে। কয়েকটি পেঁয়াজ কুচি করে বা ব্লেন্ডার করে রস বের করে নিন। এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। সারা রাত মাথায় লাগিয়ে রেখে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পরদিন ভালো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো
টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ত্বক চর্চায় টমেটো বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে চুলের জন্যও টমেটো দারুণ কার্যকরী। এটি মাথার স্ক্যাল্পের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। এই ফ্লোর কারণে চুলের ফলিকল স্টিমুলেট হয়। চুলের গোড়া শক্তিশালী করে।
রসুন
প্রাচীনকাল থেকেই চুলের নানা সমস্যা সমাধানে রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে। রসুন ব্যবহারের ফলে চুল পুষ্টি পায় আর চুলের গুণগত মান ভালো হয়। রসুন মাথায় রক্ত সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এটি চুলের নিষ্প্রাণ ভাব দূর করে এবং চুল ঝলমলে করে তোলে। রসুনের রস নিয়মিত লাগালে চুলের বৃদ্ধি ঘটে।
শসা
শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ। এটি নখ, দাঁত ও মাড়ির জন্য বেশ ভালো। শসায় থাকা সালফার ও সিলিকা মাথার চুল উজ্জ্বল ও শক্ত করে। নিয়মিত শসার রস পান চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
পালংশাক
পালংশাক চুলের বৃদ্ধির জন্য অনেক উপকারী। এতে আছে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এই উপাদানগুলো চুলের স্ক্যাল্পে তেল উৎপন্ন করে, যা চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে আছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এই দুটি উপাদানও চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়।
অ্যালোভেরার রস
অ্যালোভেরার রস চুলের রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে। চুলের ভঙ্গুরতা দূর করে। চুল বৃদ্ধির জন্য অ্যালোভেরার রস বেশ কার্যকর। নতুন চুল গজানোর জন্য অ্যালোভেরার রস নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। অ্যালোভেরার রস চুলকে কন্ডিশনিং করে নরম করে, যা অনেক দিন স্থায়ী থাকে।