ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
প্রায় ১৯ দিন পর বিদ্যুৎ পেলো কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন থাকা তিন গ্রামের সাড়ে তিনশ গ্রাহক। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) কর্তৃপক্ষ ওই তিন গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেছে। কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পবিসের জেনারেল ম্যানেজার (অ দা) মো. মোস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে সরবরাহ লাইনের খুঁটি উল্টে পড়া এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে স্থানান্তরিত করার ‘অজুহাতে’ উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী, গয়নার পটল ও শহিদুল মিস্ত্রির গ্রামে প্রায় ১৯ দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখে পবিস কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে পবিস। পরে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পবিসের সদ্য বদলি হওয়া জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. মহিতুল ইসলামের হস্তক্ষেপে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালুর উদ্যোগ নেয় চিলমারী পবিস কর্তৃপক্ষ। সরবরাহ লাইন পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে ওই তিন গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।
শাখাহাতী গ্রামের বাসিন্দা মেহেদী ইসলাম বলেন, ‘১৯ দিন পর বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে। এই কয়দিন আমরা তিন গ্রামের মানুষ অন্ধকার আর দুর্ভোগে ছিলাম। বাচ্চাদের পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতেও বিড়ম্বনার শেষ ছিল না। সংবাদ প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ।’
‘ভাঙনে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক খুঁটি নদীতে চলে গেছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে কিছু খুঁটি সরিয়ে নিয়ে সরবরাহ লাইন মেরামত করেছে। এখনও বিভিন্ন স্থানে খুঁটি পড়ে আছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল হওয়া উচিত’—যোগ করেন ব্রহ্মপুত্রের চরের এই বাসিন্দা ও চাকুরিজীবী।
চিলমারী অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ও পবিস কুড়িগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত জিএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ওই এলাকায় নদীভাঙনের কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে গিয়েছিল। আমাদের না জানিয়ে স্থানীয় উদ্যোগে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে লাইন পরিদর্শন করে মঙ্গলবার থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে।’