স্ত্রীর পরিকল্পনায় হত্যা, লাশ গুম সেপটিক ট্যাঙ্কে

কাউছার সরকার (বিশেষ প্রতিনিধি) কুমিল্লা:-
কুমিল্লার দেবিদ্বারে স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় সংঘটিত করিম ভূঁইয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন করিমের স্ত্রী ও তিন শ্যালক।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন করিম ভূঁইয়া (৪৮)। এক মাস পাঁচ দিন পর, ১৭ সেপ্টেম্বর রসুলপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ির একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত করিম কুমিল্লার বড়শালঘর গ্রামের মন্ত্রিবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী তাছলিমা বেগম স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৩ আগস্ট রাতে শ্যালক ইসরাফিল মাদক সেবনের প্রলোভন দেখিয়ে করিমকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হক মিলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় স্ত্রী তাছলিমা রক্ত পরিষ্কার করেন।
প্রথমে লাশ পাশের খালে ফেলা হলেও সকালে তা ভেসে উঠলে আবার তুলে এনে হাত-পা বেঁধে শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর নিহত করিমের বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় করিমের স্ত্রী ও তিন শ্যালককে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, করিম প্রায়ই স্ত্রী ও মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী ও শ্যালকেরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫