রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনা সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত এই তরুণের মৃত্যুর আড়াই মাস পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যা আরও একবার ঘটনার গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছে।
ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, আবু সাঈদের শরীরে শটগানের গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই গুলির কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আবু সাঈদের মাথায় একটি বড় আকারের গর্ত ছিল এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রাবার বুলেটের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই আঘাতগুলোই তার মৃত্যুর কারণ।
ময়নাতদন্তের এই রিপোর্ট আবু সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে নিশ্চিত করেছে। তার মৃত্যুর পর থেকেই সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড সমালোচনা হচ্ছিল। এই রিপোর্টের পর সেই সমালোচনা আরও তীব্র হতে পারে।
আবু সাঈদের মৃত্যুর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। তরুণ এই ছাত্রের বুক পেতে দাঁড়িয়ে পুলিশের গুলির মুখোমুখি হওয়ার দৃশ্য সবার মনে দাগ কেটেছিল।
এই ঘটনার পর থেকেই আবু সাঈদের ন্যায় বিচারের দাবি উঠে আসছে। ময়নাতদন্তের এই রিপোর্ট সেই দাবি আরও জোরদার করেছে।
এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। ছাত্র আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তুলেছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করেছে।
ময়নাতদন্তের এই রিপোর্টের পর এখন সব দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করে জনগণ।