বিসিএস প্রশ্ন ফাঁসে সাজেদুলের ভূমিকা:

প্রকাশকালঃ ১৩ জুলাই ২০২৪ ০১:১৪ অপরাহ্ণ ৩৮২ বার পঠিত
বিসিএস প্রশ্ন ফাঁসে সাজেদুলের ভূমিকা:

ঢাকা প্রেস নিউজ


১৭ জন প্রার্থীকে প্রশ্ন দিয়েছিলেন সাজেদুল:
 ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাজেদুলের মোট ১৭ জন প্রার্থী ছিল। প্রশ্ন সরবরাহের বিনিময়ে তিনি তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা করে নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১৩ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

 

সাজেদুল কীভাবে প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য হয়ে ওঠেন: চাকরিতে যোগদানের পর সাজেদুল জানতে পারেন যে পিএসসির গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী বিজি প্রেসের কর্মচারী আতিকুল ইসলামের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। তখন থেকেই সাজেদুল ওই চক্রে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন এবং ধীরে ধীরে আবেদ আলীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। প্রথমে সাজেদুল আবেদ আলীকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষায় প্রার্থী দিতেন। পরবর্তীতে সাজেদুল নিজেই প্রশ্ন ফাঁস শুরু করেন এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের কাছে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে থাকেন।
 

রেলওয়ের প্রশ্ন ফাঁসের কৌশল: ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (নন ক্যাডার) পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস করেছিলেন সাজেদুল। পিএসসির সদস্য সৈয়দ গোলাম ফারুকের চেম্বারে থাকা ট্র্যাংকে থাকা প্রশ্নপত্র তিনি চুরি করে ফটোকপি করেন। পরে মূল প্রশ্নপত্র যথাস্থানে রেখে দেন। রেলওয়ের পরীক্ষায় সাজেদুল ৯৮ জন প্রার্থীকে প্রশ্ন দিয়েছিলেন। তাদের পাস করাতে তিনি ৩৫ লাখ টাকা অগ্রিম পেয়েছিলেন। একই প্রশ্নের আরেক কপি তিনি আবেদ আলীকে ৭৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছিলেন।
 

তদন্তের অগ্রগতি: সিআইডি ধারণা করছে সাজেদুলের চেয়ে চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আরও বেশি প্রার্থী ছিল। কার কত প্রার্থী ছিল এবং তারা কারা, সে বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি।