কৃষকদলের দাপটে সেলিমের ড্রেজার ব্যবসা:প্রতিবাদ করায় হামলা ও চাঁদা দাবি

বিশেষ প্রতিনিধি:-
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে কৃষক দলের দাপটে অবৈধ ড্রেজারের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন সেলিম মাহমুদ। ড্রেজারের বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পানি ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় গোসলসহ যাবতীয় কাজ করতে পারছেনা এলাকাবাসী। প্রতিবাদ জানালে হামলা ও চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে সেলিমের বিরুদ্ধে।
মুছাপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড লাঙ্গল বন বাজার বাক্সরাইল গ্রামের ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী জানায় , মো সেলিম মাহমুদ কৃষক দলের দাপটে ড্রেজার ব্যবসা করে আসছে। এই ড্রেজার ব্যবসা কে কেন্দ্র করে এলাকায় চলে ইভটিজিং ও চাঁদা বাজি।ড্রেজারের কারণে নদীর পানি নষ্ট হওয়ায় এলাকাবাসী গোসল, কাপড়-চোপড় ধোঁয়াসহ যাবতীয় কাজের বিঘ্ন ঘটছে।
এছাড়া এলাকার মহিলাদের অভিযোগ, নদীতে গোসল করার সময় ড্রেজারের কর্মচারীরা তাদের বিভিন্নভাবে ইভটিজিং করে। গায়ে হাত তুলার মতো অভিযোগও করেন তাদের বিরুদ্ধে। এক বৃদ্ধার পা ভেঙ্গে ফেলেছে, জোর করে জায়গা দখল করেছে এমনো অভিযোগ রয়েছে এলাকা বাসীর।
এলাকাবাসী আরো জানায়, সেলিম, মাসুদ, সিপন ও মুক্তার হোসেনের ছেলেরা এক সময় আজমেরী উসমানে আস্থা ভাজন ছিলো, সময় পরিবর্তনের পেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে তারাই আজ বিএনপির বিভিন্ন অংঙ্গ সংগঠনের লোক।
অপরদিকে, জনগনের দাবীর পক্ষ নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে সেই এলাকার সাবেক মেম্বার মনোয়ার হোসেনে কথা বলতে গেলে তার সাথেও দূর ব্যবহার করে ও হামলা করে বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় এক দোকানদার জানায়, আগে যারা জাতীয় পার্টির রাজনীতি করতো তারাই আজ বিএনপির কর্মী, নতুন বিএনপিতে ডুকেই আওয়ামিলীগের মতো শুরু করেছে চাঁদা বাজি , আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছে, না দিলে দোকান খুলতে দেয় না । আমার পাশেই কিছু দোকান নির্মাণ হচ্ছে, চাঁদা না দেওয়ায় সেই দোকানের মালামাল নিয়ে গেছে। এই ধরনের চাঁদাবাজির হাত থেকে মুক্তি চায় সাধারণ মানুষ।
হামলা ও ড্রেজারের কারণে পরিবেশ এবং নদীর পানি নষ্ট হওয়ার প্রতিকার চেয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫