“ফিলিস্তিন, তুমি একা নও” — ঐতিহাসিক গণজমায়েতে শেষ হলো ‘মার্চ ফর গাজা’

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১২ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:৫৩ অপরাহ্ণ   |   ৯৩ বার পঠিত
“ফিলিস্তিন, তুমি একা নও” — ঐতিহাসিক গণজমায়েতে শেষ হলো ‘মার্চ ফর গাজা’

নিউজ ডেস্ক:-


 

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো এক ঐতিহাসিক গণসমাবেশ—‘মার্চ ফর গাজা’। লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকাগুলো রূপ নেয় জনস্রোতে। এই কর্মসূচি বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ভালোবাসা, সংহতি ও সংগ্রামের পাশে থাকার এক স্পষ্ট অঙ্গীকার হয়ে ওঠে।
 

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে বিশ্বখ্যাত কারী আহমদ বিন ইউসুফের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতেই উপস্থিত জনতাকে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। আজহারীর স্লোগানে মুহূর্তেই গর্জে ওঠে সমবেত জনতা, আর উদ্যানজুড়ে উড়তে থাকে হাজারো ফিলিস্তিনি পতাকা।
 

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক। দুপুর ২টার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, দোয়েল চত্বর, রমনা পার্ক, গুলিস্তানসহ আশপাশের এলাকায় নেমে আসে জনতার ঢল, আর রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয় এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।
 

গণসমাবেশে কোনো অতিথির বক্তব্য না থাকলেও আয়োজকদের পক্ষ থেকে পাঠ করা ঘোষণাপত্রে উঠে আসে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান পাঠ করেন এই ঘোষণাপত্র, যেখানে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয় মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি। পাশাপাশি গাজায় চলমান বর্বরতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বানও জানানো হয়।
 

সমাবেশের শেষাংশে বিকেল সোয়া ৪টায় মুফতি আব্দুল মালেকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় এক আবেগঘন মোনাজাত। লাখো মানুষের কণ্ঠে প্রতিফলিত হয় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের প্রতি দোয়া, সহানুভূতি এবং প্রতিরোধের শক্তি।
 

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পরিণত হয় এক প্রতীকী প্রতিবাদে—যেখানে ধর্ম, বর্ণ কিংবা পেশা নির্বিশেষে মানুষ একত্রিত হয় ফিলিস্তিনের মুক্তির পক্ষে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে উচ্চারিত হয় একটি স্লোগান, যা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে:
“ফিলিস্তিন, তুমি একা নও।”