|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৫ আগu ২০২৫ ০১:০৯ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৪ আগu ২০২৫ ১২:৫০ অপরাহ্ণ

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে, নদীপারে বন্যা


তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে, নদীপারে বন্যা


রংপুর প্রতিনিধি:-

 

টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা (৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) থেকে ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।
 

এর আগে বুধবার সকালে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রথমে ৭ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছায়, পরে তা কিছুটা কমে ৪ সেন্টিমিটারে নামে। কিন্তু রাতভর বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে বৃহস্পতিবার সকালে তা আবার বেড়ে ১১ সেন্টিমিটারে ওঠে এবং পরে ১৫ সেন্টিমিটার ছুঁয়ে যায়। এতে নীলফামারীর বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চলসহ রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার তিস্তাপাড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। নদীপারের মানুষ পানি আরও বাড়তে পারে—এই আশঙ্কায় উঁচু স্থানে সরে যাচ্ছেন।
 

রংপুরের গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মিটারী ইউনিয়নের সদস্য রমজান আলী জানান, সকাল থেকে তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে, ফলে নিম্নাঞ্চলের বহু পরিবার পানিবন্দি হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, পানি বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবারের বন্যা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজন হলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দু’দিন এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে, যা রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে স্বল্পমেয়াদী বন্যার ঝুঁকি বাড়াবে। ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫