সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ,বসেনি গাইড পোস্ট-নামফলক

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় সড়কের সংস্কার কাজ শেষ না করেই প্রকল্পের চার লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। আর এ কাজে সহায়তা করেছেন সংস্কার কাজের দায়িত্বে থাকা এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলার যমুনা চৌমহনী হতে বুড়াবুড়ি ইউপি কার্যালয় পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ৬৬০ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য এক কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সংস্কারের কাজের দায়িত্ব পান মেসার্স আব্দুল্লাহ ট্রেডার্স নামে কুড়িগ্রামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি সাব ঠিকাদারি করেন বুড়াবুড়ি এলাকার শহিদুর রহমান নামে এক ইটভাটা মালিক।
অভিযোগ রয়েছে, শহিদুর রহমান উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের যোগসাজসে নিজের ভাটার তৃতীয় শ্রেণির ইট দিয়ে সড়ক সংস্কার করেন। শুধু তাই নয় ওই রাস্তার কিলোমিটার পোস্ট, গাইড পোস্ট, রাস্তার নামফলকসহ ৩০টি সাইনের তিন লাখ ৯৮ হাজার ৩২০ টাকার কাজ না করেই ওই বছরের ৪ মার্চ টাকা তুলে নেন। আর এ কাজে সহযোগিতা করেছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম।
শহিদুর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কারের কাজ করলেও সে সময় স্থানীয় মানুষজন প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ না করেই প্রকল্পের চার লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
সরেজমিনে দেখা গেছে, এক বছর আগে রাস্তা সংস্কার করা হলেও রাস্তার কিলোমিটার পোস্ট, গাইড পোস্ট, রাস্তার নামফলক কিছুই চোখে পড়েনি।
বুড়াবুড়ি জনতারহাট সড়কে চলাচলকারী অটোরিকশাচালক আব্দুস ছাত্তার, সড়ক সংস্কারের সময় জনতারহাট বাজারের পাশে জোকমারী ব্রিজে কয়েকটি খুঁটি বসানো হলেও সেগুলো রং করা হয়নি।
এ বিষয়ে সাব ঠিকাদার শহিদুর রহমান বলেন, কাজ করতে গিয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ লেস (ছাড়) দিতে হয়। তাই কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এক বছরেও বাকি কাজ সম্পন্ন করেননি এমন প্রশ্নের জবাবে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে পরবর্তীতে অসম্পন্ন কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
উলিপুর উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫