ঢাকা প্রেস নিউজ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে একটি টানাপোড়েন চলছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তাকে ফেরত আনা নিয়ে উভয় দেশের রাজনৈতিক মহলে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতের একাধিক রাজ্যে বাংলাদেশ মিশনে হামলা এবং এসব ঘটনা সম্পর্কের এই সংকটকে আরও গভীর করেছে। ফলে, দুই বন্ধুপ্রতীম দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তবে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান টানাপোড়েনের সমাধান হবে।
ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী পর্যটন প্রচার উৎসবের অনুষ্ঠানে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আগরতলার খেজুর বাগান এলাকার গীতাঞ্জলি গেস্ট হাউসে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থায় ফিরে আসবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে হিসেবে গড়ে উঠবে, এই লক্ষ্যে কাজ চলছে। যদিও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে এটি কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে, তবে আগামীতে এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরা এবং গোটা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আবার উন্নত হবে।
এছাড়া, ত্রিপুরা রাজ্যে আসা দেশ-বিদেশি পর্যটকদের সুবিধা বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার পর্যটক পুলিশ চালু করার পরিকল্পনা করছে বলেও জানান তিনি।
আলোচনা সভার পর, গীতাঞ্জলি গেস্ট হাউসে মুখ্যমন্ত্রী ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটকদের স্টল পরিদর্শন করেন। সভায় ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, রাতের অনুষ্ঠানে রাজধানী আগরতলার আস্থাবল ময়দানে কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল সংগীত পরিবেশন করেন।