ঢাকা প্রেস নিউজ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে দেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে কাজ করার জন্য এখন সুন্দর একটি সময় এসেছে। স্বাস্থ্যখাতের সব ধরনের অনিয়ম ও অনৈতিকতা দূর করে ৯০ দিনের মধ্যে জনগণের জন্য একটি আদর্শ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
কোটা আন্দোলনের আহতদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
ডা. আহমেদুল কবীর আরও জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোটা আন্দোলনে আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সব হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আহতদের কাছ থেকে কোন ধরনের বিল নেওয়া যাবে না। সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের আর কোন পরীক্ষা বা ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দাবি
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা স্পেশালাইজড কেয়ার ইউনিটে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবে। এছাড়া, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও তারা বিনা খরচে চিকিৎসা নিতে পারবে। তিনি আরও বলেন, যারা সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা বা অন্য কোন সুবিধা দাবি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ
আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম জানিয়েছেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে শয্যার সংখ্যা অপর্যাপ্ত হওয়ায় রোগীদের চাপ অত্যধিক। তিনি অভিযোগ করেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে চিকিৎসার নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে। তিনি এসব টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই ঘোষণা দেশের স্বাস্থ্যখাতে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে যে পরিবর্তন আসবে, তা দেশের জনগণের জন্য একটি বড় সুবিধা হবে।