ঢাকা প্রেসঃ
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি 'স্মৃতি, সত্তা ও ভবিষ্যৎ' শীর্ষক এক আয়োজনে চলচ্চিত্রকার ও লেখক ঋত্বিক ঘটক, চিত্রগ্রাহক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হীরালাল সেন, সংগীতজ্ঞ আব্বাস উদ্দিন এবং সংগীতজ্ঞ আব্দুল লতিফকে স্মরণ করেছে।
ঋত্বিক ঘটক:
১৯৪৭ সালের ভারতের স্বাধীনতা ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্রে সারাজীবন ধরে প্রতিফলিত হয়েছে। দেশভাগের বেদনাদায়ক প্রভাব ১৯৬১, ১৯৬২ এবং ১৯৬৩ সালে নির্মিত 'মেঘে ঢাকা তারা', 'কোমল গান্ধার' এবং 'সুবর্ণ রেখা'-র মতো চলচ্চিত্রে চিত্রিত। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ও লেখক ঋত্বিক ঘটককে স্মরণ করে একটি প্রবন্ধ পাঠ করেছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ফরিদুর রহমান। প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল 'ঋত্বিক ঘটক: চলচ্চিত্রে যিনি ভাবতে শিখিয়েছেন'।
হীরালাল সেন:
বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হীরালাল সেনকে স্মরণ করে একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। 'হীরালার সেন স্মৃতিসত্তা: শতবছরের পথরেখা' শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক স্বজন মাঝি।
আব্বাস উদ্দিন:
বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ আব্বাস উদ্দিনের জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। আব্বাস উদ্দিনের স্মরণে প্রবন্ধ পাঠ করেছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও সংগীত গবেষক ড. নাশিদ কামাল।
আব্দুল লতিফ:
বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ আব্দুল লতিফের জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। আব্দুল লতিফের স্মরণে প্রবন্ধ পাঠ করেছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও সংসদ সদস্য অনিমা মুক্তি গোমেজ।
উপস্থিতি: অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহম্মদ। বিভিন্ন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ববর্গ।
এই আয়োজনটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা ও মনীষীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি উদ্যোগ। চারজন গুণী ব্যক্তিত্বের অবদান তুলে ধরে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে।