ক্রেতারা অভিযোগ করেন, সবজির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে বিক্রেতারা বলেন, দাম ঠিকই আছে। যেসব পণ্যের সরবরাহ কম সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি।
সবজির দাম বাড়লেও বাজারভেদে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আজ কেজি প্রতি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায়। যা দুই দিন আগেও ছিলো ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। লাল মুরগি ৩৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিলো ৪৪০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি হালি ডিমের জন্য ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। বিক্রেতাদের ভাষ্য, গরুর দাম বেশি। তাই মাংসের দামও বেড়েছে। অন্যদিকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি দরে।
মাংসের মতো বেড়েছে মাছের দামও। বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১৩০০ টাকা এবং এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই মাছ ৩৫০-৪০০, কাতল ৬০০, বেলে মাছ ১০০০-১১০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা, কৈ মাছ ৩০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা ইকবাল হোসেন বলেন, 'প্রতিদিন বাজারে এসে নতুন দাম শুনি! গতকাল তেলের দাম ছিলো ১৮৭ টাকা লিটার, আজ বিক্রি হচ্ছে ১৯৯ টাকা লিটারে। মানে লিটারে দাম বেড়েছে ১২ টাকা। তাও তো ১৯৯ টাকা দেওয়া যায় না, দিতে হয় ২০০ টাকা।'
ভোজ্য তেল ও চিনির সরবরাহ ঘাটতির মধ্যেই বেড়েছে দাম। সরকারের নির্ধারিত দর প্রতি কেজি ১০৪ টাকা হলেও ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে চিনি। এরইমধ্যে ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯৬০ টাকা। এতোদিন যার দাম ছিলো ৯০৬ টাকা। এর মানে নতুন করে ৫ লিটারে বাড়লো ৫৪ টাকা।
অন্যদিকে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম হচ্ছে ১৭৬ টাকা। এতোদিন প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৬৭ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হবে ১৩৫ টাকায়।