২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাবেন উচ্চবিত্তরা, বাড়তি করের চাপে পিষ্ট হবে মধ্যবিত্ত

বছর জুড়েই নিয়মিত আলোচনায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির খবর। যার কারণ হিসেবে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কাছে সরকারি নীতিনির্ধারকদের অসহায় উপস্থাপন, করোনার প্রভাব, বিশ্বজনীন অস্থিরতা বা ডলার সংকট। দিনশেষে ফল জনসাধারণের অশেষ ভোগান্তি। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার আসছে, ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার নতুন বাজেটের ঘোষণা। যাতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা।
মূল্য সংকোচনের নীতি বলা হলেও, বাড়তি রাজস্ব আদায়ের তাড়ায় চাপা পড়ে যাচ্ছে তা। তথ্য বলছে, বাড়ছে না করমুক্ত আয়ের সীমা। আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসছে মোবাইল ফোনের খরচে। বাড়তি শুল্কের কারণে দাম বাড়বে সিগারেটের। ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে বিভিন্ন বিনোদন পার্কে প্রবেশের টিকিটও। এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া বড় বাজেট নষ্ট করবে আর্থিক শৃঙ্খলা।
বর্তমানে শূন্য শুল্ক দিয়ে আমদানি করা যায় চাল, গম, ভুট্টা, সরিষা বীজ, পরিশোধিত সয়াবিন তেল,ভিটামিন, ইনসুলিন, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যক ওষুধ ও তার কাঁচামাল। এ তালিকার সাড়ে তিনশর মধ্য থেকে একশটি পণ্যতে বসছে ১ শতাংশ শুল্ক হার। আবার, ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে ফ্রিজ ও রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের শুল্ক।
বাদ যাচ্ছে না বিভিন্ন ধরণের জুসও, যার উৎপাদনে শুল্ক গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ৫ থেকে ১৫ শতাংশে। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে নীতিমালা গ্রহণ করলেই হয় না সে নীতির ব্যাখ্যা জনগণকে দেয়া লাগে। আস্থা না পেলে নাগরিকরা কর দিতে আগ্রহী হবেন না। বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে উচ্চবিত্তদের, আর বাড়তি করের চাপে আরও পিষ্ট হতে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণি।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫