ইরান-ইসরায়েল সংঘাত থামাতে ভারতের কূটনৈতিক উদ্যোগের আহ্বান মমতার

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৫ জুন ২০২৫ ০২:৫১ অপরাহ্ণ   |   ৬০ বার পঠিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত থামাতে ভারতের কূটনৈতিক উদ্যোগের আহ্বান মমতার

অনলাইন ডেস্ক:-

 

পশ্চিম এশিয়ায় চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় বক্তব্যে তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে, যা পরিবেশ দূষণ বাড়াচ্ছে। এই ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে আমাদের অবশ্যই উদ্যোগী হতে হবে।”
 

তিনি স্পষ্ট করে জানান, পররাষ্ট্রনীতি কেন্দ্রের বিষয় হলেও একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি যুদ্ধবিরোধী মনোভাব থেকে এই আহ্বান জানাচ্ছেন। তার ভাষায়, “আমার এই বিষয়ে মন্তব্য করার সাংবিধানিক অধিকার না থাকলেও মানবিক দায় থেকে বলছি—ভারতের উচিত শান্তির পক্ষে কথা বলা।”
 

ভারতের ঐতিহাসিক কূটনৈতিক ভূমিকা তুলে ধরে মমতা বলেন, “আমরাই প্রথম প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে স্বীকৃতি দিয়েছিলাম। রাজীব গান্ধীর সময় আমি ও আনন্দ শর্মা অ্যাঙ্গোলায় গিয়েছিলাম সহায়তা করতে। ভারত জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে—সেই ঐতিহ্য আজও বহন করা উচিত।”
 

এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী নাগরিকদের বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার অভিযোগও তোলেন। বলেন, “শুধু বাংলা ভাষায় কথা বললেই বিভিন্ন বিজেপি-শাসিত রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে আটকানো হচ্ছে, নির্যাতন চালানো হচ্ছে, এমনকি জোর করে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে। তারা ভারতেরই নাগরিক।”
 

তিনি জানান, সম্প্রতি রাজস্থানে ৩০০ থেকে ৪০০ পরিযায়ী শ্রমিককে আটক করার খবর পেয়েছেন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই ধরনের ঘটনার শিকার অনেককেই উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
 

মমতা ক্ষোভের সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বলাই কি আজ অপরাধ? স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি—তাঁরা তো এই ভাষাতেই কথা বলতেন। তাহলে আজ কেন বাংলা ভাষাকে অপমান করা হচ্ছে?”
 

তিনি আরও জানান, গত সোমবার বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি প্রথমেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির বিষয়ে নিশ্চিত হন। “আমরা কোনো বেআইনি কাজ করি না,”—জোর দিয়ে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।