ঢাকা প্রস
মঈনুদ্দীন শাহীন,কক্সবাজার:-
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার অব্যাহত রাখতে ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে স্বসস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো।
ক্যাম্পে চাঁদাবাজি,অপহরণ ও আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে বিদ্রোহী গ্রুপ আরএসও এবং আরসা সদস্যরা কয়েক দিনে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, আতংকে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গারা। অপর দিকে এসব রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে কিছু ক্যাম্পে সাধারণ রোহিঙ্গারা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতেও দেখা গেছে। নিরাপত্তার কথা ভেবে ক্যাম্পে কর্মরত একাধিক এনজিও সংস্থার লোকজন ঘটনার পর থেকে ভয়ে ক্যাম্পে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন।
ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন ৮ এর অধিনায়ক আমির জাফর জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাধারণ রোহিঙ্গা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হঠাৎ অস্থিরতা বেড়ে গেছে। দিনে-রাতে গোলাগুলি চালাচ্ছে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। ঘর থেকে বের হতে ভয় লাগে। (৬ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার সকালে উখিয়ার বালুখালী, ময়নারঘোনা, জামতলীসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাব মাঝি সৈয়দ করিমের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠসোটা নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে। মিছিল নিয়ে তারা দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা কয়েক শ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এপিবিএন ৮ এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন জানান, তার দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা মিছিল করেছেন। এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। মসজিদে মাইকে ঘোষণা দিয়ে আরএসওকে প্রতিরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে আরসা। দুই পক্ষই পরস্পরকে লক্ষ্য করে গোলাগুলি করছে।
পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক না হওয়ায় সেবাদাতা এনজিও গুলোর কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা, সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তানভীর হোসেন বলেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু সমস্যা হচ্ছে শুনেছি। তবে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বিস্তারিত বলতে পারবেন। এপিবিএন ৮ এর অধিনায়ক আমির জাফর বলেন, কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা মিছিল করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।