ঢাকা প্রেস
স্টাফ রিপোর্টার (চট্টগ্রাম):-
চট্টগ্রাম চেম্বারের বর্তমান বোর্ডে একের পর এক পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে, যা চেম্বারের গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিনা ভোটে নির্বাচিত পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে জমে আসছিল। পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ব্যবসায়ীদের বঞ্চনা—এই অভিযোগগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে এই পদত্যাগগুলোকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জয় হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
চেম্বারের ইতিহাসে এত ব্যাপক হারে পদত্যাগের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল চেম্বারে সুষ্ঠু নির্বাচন। এই পদত্যাগগুলোর ফলে সেই দাবির প্রতি সমর্থন মিলেছে।
এই ঘটনার মূল কারণ হলো, চেম্বারের বর্তমান নেতৃত্ব ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। চেম্বার ঘিরে সৃষ্ট অস্থির পরিস্থিতি সাধারণ সদস্যদের সেবায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই বোর্ড পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই ঘটনা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি প্রমাণ করে যে, ব্যবসায়ীরা আর নির্যাতিত হতে রাজি নয়। তারা নিজেদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে প্রস্তুত।
এখন চেম্বারের সামনে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। নতুন নেতৃত্বকে ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং চেম্বারকে আবারও একটি গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।