ঢাকা প্রেসঃ
দীর্ঘায়িত দরপতনের আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করছেন, যার ফলে সকল ধরণের শেয়ারের দাম কমছে।
গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ দরপতনের হার কিছুটা কমেছে,বাজারে লেনদেনও কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এ আজ বুধবার শেয়ারবাজারে দরপতন কিছুটা কমেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজমান থাকায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
সকাল ১০ টায় লেনদেন শুরুর ৩৪ মিনিট পর ডিএসই-এর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৭০ পয়েন্ট হারিয়ে ৫৫১৫ পয়েন্টে নেমে এসেছিল। তবে দুপুর ১ টায় ৪৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৫৫৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।
গত ছয় কার্যদিবসের মধ্যে পাঁচদিন শেয়ারের দাম কমেছে। আজও লেনদেন শুরু হয়েছিল বড় দরপতনে। সকাল ১০ টায় লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা না পেরোতোই শতাধিক শেয়ার ক্রেতা শূন্য হয়ে গিয়েছিল। তবে দুপুর ১ টায় ক্রেতা শূন্য শেয়ার সংখ্যা ৭০টিতে নেমে আসে।
বাজারে লেনদেনও কমেছে। আজ লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ১৫৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। দুই ঘণ্টা শেষে তা মোট ৩৬৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। গতকাল একই সময়ে ৪৯৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দরপতনের কারণ জানে না। তবে ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা বলছেন, রিজার্ভ নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা খবরের কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
দরপতন ঠেকাতে বিএসইসি তৎপরতা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে শেয়ারদরের সার্কিট ব্রেকারের নিম্নসীমা ৩ শতাংশে বেধে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এখন কোনো শেয়ারের দর একদিনে ৩ শতাংশের বেশি কম।