কুড়িগ্রামে হালকা শীত-কুয়াশায় রাস্তা-বাজার-ফুটপাতে বসেছে ভাপা, চিতই পিঠার পসরা 

প্রকাশকালঃ ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১২:১৪ অপরাহ্ণ ৬৪৪ বার পঠিত
কুড়িগ্রামে হালকা শীত-কুয়াশায় রাস্তা-বাজার-ফুটপাতে বসেছে ভাপা, চিতই পিঠার পসরা 

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

অগ্রহায়ণ আগমনী বার্তায় নভেম্বরের হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে শীতের আগমনী বার্তা পৌঁছে গেছে। সূর্য ডোবার পর থেকেই কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক, সকালে ঘাসের ওপর শিশিরের ফোঁটা শীতের তীব্রতাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে শীতকালীন ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ও বিভিন্ন ভর্তার প্রতি মানুষের আগ্রহও বাড়তে শুরু করেছে।
 

 

প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে আর বাজারগুলোতে দেখা মেলে শীতকালীন পিঠা বিক্রেতাদের। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে নিজেদের হাতে তৈরি ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, দুধপুলি, এবং নানা রকম ঐতিহ্যবাহী পিঠা নিয়ে বসছেন। দোকানগুলোর সামনে ভিড় করছেন নানা বয়সের মানুষ। অনেকেই শুধু শীতের পিঠার স্বাদ নিতে প্রিয়জনের সাথে বেরিয়ে আসছেন।
 

 

এছাড়াও শীতকালে বিভিন্ন শাকসবজি এবং ভর্তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পিঠার সাথে সরিষা, শুটকি, তিল, ও কালাইয়ের ডাল দিয়ে তৈরি ভর্তাগুলো বেশ জনপ্রিয়। শীতের আমেজে এসব পিঠা ও ভর্তার স্বাদ যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য ভাপা ও চিতই পিঠা শীতকালীন আনন্দে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি করে।
 

 

কুড়িগ্রামের ঘোষপাড়াস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভের সামনে পিঠার এক তেলবাহী লরির ড্রাইভার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, “শীতকালে পিঠার জন্য আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে। সন্ধ্যার পরে রাস্তার পাশে বসে বা ফুটপাতে এসব পিঠার দোকান বসে।  কিছু পিঠা কিনে নিয়ে গরম গরম খাওয়া, এটি এক ধরনের বিশেষ অনুভূতি। বিশেষ করে আমাদের এখানে পিঠার ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের, এটি আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ।”
 

 

কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনের মোড়ে পিঠা বিক্রেতারা মোঃ শাহজাহান আলী বলছেন, শীতের আগমনে তাদের বেচাকেনা বেড়েছে। 
 

 

কুড়িগ্রাম জিরো পয়েন্ট শাপলা চত্বরের এক পিঠা ও সিদ্ধ ডিম বিক্রেতা মোঃ শহিদুল বলেন, “শীতকাল এলেই আমাদের পিঠা ও ডিম বেচার কাজ শুরু হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে লোক আসে পিঠা খেতে। মানুষের আগ্রহ দেখে ভালো লাগে।”
 

 

এই উৎসবমুখর পরিবেশে কুড়িগ্রামের মানুষেরা শুধু খাবার নয়, বরং নিজেদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন। শীতকালীন পিঠার এই আনন্দ যেন শীতের প্রতিটি সন্ধ্যায় মানুষের মনে উষ্ণতা যোগায়।