ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামে গত দুই সপ্তাহ ধরে শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গত পাঁচ দিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে, যা কৃষি শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। শীত উপেক্ষা করে তারা জীবিকা নির্বাহের জন্য মাঠে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষজন শীত নিবারণের জন্য খড়কুটো জ্বালিয়ে সামান্য উত্তাপ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়, যেখানে শিশু, বৃদ্ধ ও কর্মজীবীরা শীতের কষ্টে ভুগছেন। সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে, রাতভর হিমেল হাওয়ার সঙ্গে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। জেলার ৯ উপজেলার অনেক মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। যদিও সরকারিভাবে ২০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে, বেসরকারি উদ্যোগে এখনও তেমন শীতবস্ত্র বিতরণ দেখা যায়নি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, শীতের কারণে ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি এখনও হয়নি। তবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে বোরো বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, এ বিষয়ে কৃষকদের উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা জানান, ৯ উপজেলায় ২৭ লাখ টাকা নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে আরও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।