চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ-
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দুই জনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের একজন পুরুষ ও একজন নারী। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নগরীর একটি বেসরকারি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সোমবার দুই জনের শরীরে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে। বর্তমানে তাদের পর্যবেক্ষণে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, চট্টগ্রামের এপিক হেলথ কেয়ারে একটি কম্বাইন কিট ব্যবহার করে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়, যেটি একাধিক ভাইরাস সনাক্তে সক্ষম। তবে নিশ্চিত নিশ্চিতকরণে আরও কিছু পরীক্ষাও চলছে।
আক্রান্ত পুরুষের জ্বর, শরীর ব্যথা ও লালচে দাগ দেখা গেছে। নারীর ক্ষেত্রে জ্বর, হাত-পা ব্যথা এবং ফোলাভাব রয়েছে।
বিশেষজ্ঞ সংস্থা আইইডিসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, জিকা ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। সাধারণত বিশ্রাম, পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার গ্রহণ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বর-ব্যথার ওষুধ গ্রহণই চিকিৎসার মূল উপায়। আক্রান্তদের প্রায় ৮০ শতাংশেরই কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে বাকি ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে চামড়ায় র্যাশ, মাথা ব্যথা, চোখ লাল হওয়া, মাংসপেশি ও গিঁটে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই উপসর্গগুলো সাধারণত ৩ থেকে ১২ দিনের মধ্যে প্রকাশ পায় এবং ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছেন, জিকা ভাইরাস নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে, যাদের জন্য এই ভাইরাস বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।