ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক: ‘চোখে চোখ রেখে’ কথা বলার আহ্বান হাসনাত আব্দুল্লাহর

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:০২ অপরাহ্ণ   |   ৫৭৯ বার পঠিত
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক: ‘চোখে চোখ রেখে’ কথা বলার আহ্বান হাসনাত আব্দুল্লাহর

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

ভারতের সঙ্গে আর কোনো নতজানু সম্পর্ক নয়, এখন থেকে চোখে চোখ রেখে কথা বলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ
 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত গণজমায়েতে তিনি এ মন্তব্য করেন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এই গণজমায়েতের আয়োজন করে।

 

হাসনাত বলেন, "ভারত দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘুদের উসকে দিয়ে এ দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছে। তবে আমরা তাদের সেই ফাঁদে পা দিইনি। তাদের সঙ্গে কোনো আপস বা সমঝোতার রাজনীতি আর চলবে না।"
তিনি আরও বলেন, "আর কোনো গুম নয়, আর কোনো খুন নয়। আমাদের সামনে একটাই পথ—হয় মাতৃভূমি, না হয় মৃত্যু।"

 

হাসনাত অভিযোগ করেন, বিগত বছরগুলোতে গুম-খুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অনেককে ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। “কারা এই নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত করেছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। একই সঙ্গে যারা পুলিশের মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে বিরোধী মত দমন এবং গুম-খুনের কাজে ব্যবহার করেছে, তারাও দায় এড়াতে পারে না,”—বলেন তিনি।
 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে নির্বিচারে গুম, খুন এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে। “যারা ফ্যাসিবাদকে প্রশ্রয় দিয়েছে এবং রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য ইতিহাস বিকৃতি করেছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে,” যোগ করেন তিনি।

 

হাসনাত বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে যেসব ব্যক্তির সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, তাদের সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।”
 

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “ক্ষমতায় যাওয়ার আশায় যারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার কথা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য কখনও সফল হবে না। শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে রাজনীতির মাঠে ফেরা সম্ভব নয়।”
 

এই গণজমায়েতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, গুম কমিশন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা
 

গণজমায়েতটি মানবাধিকারের সুরক্ষা ও বিচার নিশ্চিত করার দৃঢ় অঙ্গীকারের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।