|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:১৩ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:২৪ পূর্বাহ্ণ

গৃহহীনদের ঘর বুঝে পাবার আগেই নদীগর্ভে বিলীন


গৃহহীনদের ঘর বুঝে পাবার আগেই নদীগর্ভে বিলীন


ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

 

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আবাসন প্রকল্পের ঘর ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এরইমধ্যে ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে ৫টি ঘর ভেঙে গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত আবাসন প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে ৬০ থেকে ৭০টি পরিবার সেখানে বসবাস করছেন।

 

এদিকে ভাঙন হুমকিতে থাকায় অনেক দিন হতে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেও কোনো সুরাহা মেলেনি বলছেন জনপ্রতিনিধিরা। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার অষ্টমীরচরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খোদ্দবাশপাতার এলাকার ১০০ পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়।

 

আবাসন প্রকল্পটি হস্তান্তর না হলেও বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ পরিবার রয়েছেন বলে জানা গেছে। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন হুমকিতে আবাসনের এক দিকের একটি ব্যারাকের ৫টি কক্ষ ভেঙে গেছে নদীতে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা এখনই না নিলে পুরো আবাসনটি বিলীন হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।

 

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম রেজা জানান, গত রাতে দুটি রুম নদীতে ভেঙে গেছে। আমার উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মালামালগুলো সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখেছি। বিষয়টি নিয়ে এর আগে ইউএনওসহ পিআইও স্যারের ওখানে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল।

 

অষ্টমীরচর ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। যে কোনো সময় আবাসনটি নদীতে ভেঙে যেতে পারে। আমি খোঁজ নিয়েছি আবাসনে ভাঙন শুরু হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আবাসনের ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়নি। এমনিতে স্থানীয় ৬০-৭০ পরিবার সেখানে রয়েছে। এর আগে একটা কমিটি করে সুবিধাভোগীর তালিকা করা হয়েছিল কিন্তু অভ্যন্তরীণ ঝামেলার কারণে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি।

 

চিলমারীর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার নঈম উদ্দীন জানান, ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সেখানের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে এবং সরিয়ে রেখেছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপাতত তাদের জিও ব্যাগ বরাদ্দ নেই। তারপরেও কথা বলে রেখেছি যদি জিও ব্যাগ বরাদ্দ পাওয়া যায় ভাঙন রোধ করার জন্য। আমাদের দিক থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫