ঘটনাস্থলে বিধ্বস্ত বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম সাগরও প্রাণ হারান। তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হলে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় তিনি জনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে তুলনামূলক জনশূন্য এলাকায় বিমানটি অবতরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটি দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়।
এফ-৭ মডেলের যুদ্ধবিমান নিয়ে আগেও একাধিক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এক দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বারবার এই মডেলের বিমান দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে, যা এর কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান এক সময় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কম খরচের আকাশ প্রতিরক্ষা সমাধান হিসেবে বিবেচিত হতো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সাশ্রয়ী সমাধান এখন পরিণত হয়েছে সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎসে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, ইরানসহ যেসব দেশে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে, সেসব দেশেই প্রায়শই এই বিমান দুর্ঘটনার খবরে উঠে আসে।