বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরিঞ্জা ভ্যালী ভ্রমন গাইড

প্রকাশকালঃ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৩:৪০ অপরাহ্ণ ৯৪১৬ বার পঠিত
বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরিঞ্জা ভ্যালী ভ্রমন গাইড

বাংলাদেশের ভূ-স্বর্গ পার্বত্য জেলায় মেঘ-পাহাড়ের খেলা দেখার পাশাপাশি প্রকৃতিকে সঙ্গে পর্যটকদের অনাবিল আনন্দ দিতে চিরসবুজ সাজে সেজেছে বান্দরবানের লামার মিরিঞ্জা ভ্যালি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই মিরিঞ্জা ভ্যালি। বান্দরবান শহর থেকে ৮৬ কিলোমিটার ও চকরিয়া হতে আলীকদম সড়কে ২৭ কিলোমিটার দূরে লামায় উপজেলায় অবস্থিত এই মিরিঞ্জা ভ্যালী পর্যটন কেন্দ্র। এখানে সুউচ্চ সবুজ পাহাড়-বনানীঘেরা আঁকাবাঁকা পথ, আকাশ, মেঘগুলো পর্যটন কেন্দ্রটিকে দিয়েছে নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সৌন্দর্য। নির্মল আনন্দের রাজ্যে নগরের যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে গড়ে উঠেছে প্রকৃতির বুকচিরে আকাশ ছোঁয়া চিরসবুজ এক শান্তিধাম। মিরিঞ্জা ভ্যালীতে আকাশ-মেঘ ভ্রমণপিপাসু মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। এখানে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো পাহাড় আর মেঘের খেলা উপভোগ করা। অবারিত সবুজ প্রান্তর যেখানে মিশে যায় মেঘের ভেলায়। এখানে মেঘের সঙ্গে পাহাড়ের যেন আজন্ম বন্ধুত্ব। প্রকৃতি এলাকাটিকে সাজিয়েছে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে। এখানে ইচ্ছে করলেই ছোঁয়া যায় মেঘ, আকাশকেও মনে হয় বেশ কাছে। রাতে শহরের আলোতে যেন সৌন্দর্য আরও বৈচিত্র্যময়।

মিরিঞ্জা ভ্যালী পর্যটন কেন্দ্রটি ২ একর জায়গা পাহাড় জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে। লামা শহর থেকে আঁকাবাঁকা সড়ক বেয়ে যেতে হয় এই কেন্দ্রটিতে। লামা শহর থেকে মিরিঞ্জা ভ্যালী দুরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। পাহাড়ে উঁচুতে পরিবেশ বান্ধব ইকো রিসোর্ট হিসেবে তৈরী করা হয়েছে বাশের তৈরী ২টি মাচাং ঘর। এছাড়া পর্যটকদের সুবিধার্তে জন্য রাখা হয়েছে খোলা আকাশের নীচে কয়েকটি তাবু ঘর। এদের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে রাতে চিকেন ফ্রাই,বিরায়ানী সহ নানা পদে খাবার। কেন্দ্রটি চারিপাশে নিরাপত্তা রয়েছে বেশ মোটামুটি। ২০২১ সালে গড়ে তোলা পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়েছে ২০২২ সালে।

 

যেভাবে যাবেন 

ঢাকা কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে  রাতে ১১:৩০ টুর্না ট্রেন করে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে নামতে হবে টিকেট পড়বে জন প্রতি ৩৪৫ টাকা। সকাল ৫:৩০ বা ৬:০০ টার সময় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে নামতে হবে। তারপর অটো বা সিএনজি করে নতুন ব্রিজ আসতে হবে ভাড়া পড়বে জন প্রতি ১৫ টাকা। নতুন ব্রিজ থেকে বাসে করে চকরিয়া আসতে হবে বাস ভাড়া ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে আসা যাবে। সময় লাগবে মোটামুটি ২;৩০ মিনিট বা ৩ ঘন্টা সময় লাগবে, নামতে হবে চকরিয়া বাস স্ট্যান্ড । চকরিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে চান্দের গাড়ীতে করে মুরুম পাড়া আসতে হবে ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৮০ টাকা। এখান থেকে পাহাড়ে ২০ মিনিট ট্র‌্যাকিং করে আসলেই  মিরিঞ্জা ভ্যালি। 
বাসেঃ ঢাকা থেকে লামায় দুইটি বাস ছাড়ে শ্যামলী হানিফ যেকোন বাসে উঠে গেলেই হল। মিরিঞ্জা পাড়ায় নেমে গেলে মেইন রোড থেকে মাত্র ১০ মিনিট হাটার রাস্তা তারপরই পেয়ে যাবেন মিরিঞ্জা ভ্যালী।
অথবা কক্সবাজারের যে কোন বাসে উঠে চকরিয়া নেমে লামার  চান্দের গাড়িতে উঠে মিরিঞ্জা পাড়ায় নেমে যাবেন 

কোথায় থাকবেন

মিরিঞ্জা ভ্যালিতে রাতে ক্যাম্পিং করে থাকতে পারেন বা জুম ঘরে থাকতে পারবেন।জুম ঘরে শুধু ভাড়া ২০০০ টাকা খাবার আলাদা নিজেদের ব্যবস্থা করে নিতে হবে। যদি ১০ জন বা তার ও বেশী গিয়ে থাকেন তাহলে জুম ঘর নিতে পারেন। অথবা দুপুরের খাবার, সন্ধ্যায় নাস্তা, রাতে বারবিকিউ, পরদিন সকালের নাস্তা, পানি, তাবুতে রাতে থাকা সব মিলিয়ে একটা প্যাকেজ নিতে পারেন জনপ্রতি ৮৫০ টাকা।