ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-
ভোটারদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, "নির্বাচনে প্রতিটি নাগরিকের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার অধিকার রক্ষা করতে হবে।"
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য পুলিশ বাহিনীর নিষ্ঠা ও সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “প্রত্যেক প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ এবং ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো অন্যায় বা অনিয়মের মাধ্যমে নির্বাচিত কেউ ন্যায়ের প্রতিষ্ঠাতা হতে পারে না। তাই কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত না হয়ে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দায়িত্ব পালন করুন।”
নির্বাচনের সময়টাকে চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পরাজিত শক্তিগুলো যেন দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে। দেশ এখন এক ধরনের যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে—অশুভ চক্র আমাদের ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টায় লিপ্ত, যার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি ধৈর্যশীল ভূমিকার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রশংসা করে বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জনগণের অনেক আন্দোলন-সংগ্রামে আপনারা ধৈর্য দেখিয়েছেন। এই ধৈর্য ভবিষ্যতেও ধরে রাখার আহ্বান জানাই।”
পুলিশকে ‘জনগণের বন্ধু’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “পুলিশ সপ্তাহে ধর্মীয় নেতা, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক আয়োজন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ ধরনের সংলাপ নিয়মিতভাবে আয়োজন করলে পুলিশ ও জনসাধারণের মধ্যে দূরত্ব কমবে, যা শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।”
আপনি কি এ সংবাদটি প্রিন্ট বা অনলাইন পত্রিকার জন্য তৈরি করছেন?